ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ সহপাঠীকে মারধরের ঘটনা নিছকই ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঘটনার মূল অভিযুক্ত সরদার ইসরাফীল।
বৃহস্পতিবার (১০ই আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের পাশে নিজ সহপাঠীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সরদার ইসরাফীলের ওপর। মারধরের শিকার হন মাসুদ রানা ও ইমরান ফরহাদ ইমন। তারা তিনজনই ইসলামের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। মাসুদ ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
এদিকে মারধরে গুরুতর আহত মাসুদ ও ইমরান ফরহাদ ইমু এ ঘটনাকে ক্ষমতা প্রদর্শন বলে মন্তব্য করেছেন। তারা বলেন, শুধু ক্ষমতা প্রদর্শনের মানসিকতা থেকে তাদের ওপর এ হামলা করা হয়েছে।
জানা যায়, গত বুধবার (৯ই আগস্ট) শ্রেণি কক্ষে বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে সরদার ইসরাফীলের সহপাঠী রাজনের সাথে কথা বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়।কিছুক্ষণ পরে ফোন করে মিমাংসার জন্য মাসুদ ইসরাফিলকে ডাকে। এক পর্যায়ে তিন জন মিলে ইসরাফীলকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। আহত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসাও নেন সরদার ইসরাফীল।
জানতে চাওয়া হলে সরদার ইসরাফীল বলেন, কোনো মিমাংসার জন্য নয়। আমাকে মারার জন্যই মাসুদ ফোন দিয়ে ডাকে।আমি গেলে তারা আমাকে প্রচন্ড মারধর করে। এক পর্যায়ে ওরা মারধর করে আমার কপাল ফাটিয়ে দেয়।
‘আমাকে মারধরের ঘটনা শোনার পর হলের সহপাঠী ও জুনিয়ররা একটু ক্ষুব্ধ হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে হল থেকে কয়েকজন মাসুদ ও ইমরানের সাথে কথা বলতে যায়। ওই সময় রাজন তাদের সাথে ছিল না। কথা বলার এক পর্যায়ে তারা কয়েকটা কিল ঘুষি মারে ওদের দুইজনকে। আমি পরে গিয়ে আমার হলের সহপাঠী ও জুনিয়রদের নিয়ে আসি।
এ ঘটনার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র জমা দেবেন বলে মাসুদ ও ইমরান জানিয়েছেন। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।
বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বরিকুল ইসলাম বাঁধন আহত শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা দেখিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম আমজাদ আলী বলেন, ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।