তথ্য গোপন করে উচ্চতর স্কেলে এমপিও ভোগ করায় খুলনা বয়রা উপজেলার হিলফুল ফুজুল টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল কালাম গাজীর এমপিও বাতিল করা হচ্ছে। মো. আবুল কালাম গাজী চাকরির ধারাবাহিকতা বিষয়ের তথ্য গোপন করে সহকারী অধ্যাপক স্কেলে বেতন ভাতা ভোগ করছেন মর্মে অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তথ্য গোপন করে উচ্চতর স্কেলে বেতন ভোগ করায় ‘কেন তার এমপিও বাতিল করা হবে না’ তার ব্যাখ্যা ৭ কর্মদিবসের দিতে বলে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে মো. আবুল কালাম গাজীকে। শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
জানা গেছে, মো. আবুল কালাম গাজীর বিরুদ্ধে আসা কর্তব্য অবহেলা ও সরকারি বিধি বহির্ভূত কাজের অভিযোগটি তদন্ত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী মো. আবুল কালাম গাজী ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার কারণে হিলফুল ফুজুল টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে বরখাস্ত ছিলেন। একই সাথে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো ১৯৯৫ এর ৭ এর ৭ ধারা এবং এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো ২০১৮ এর ১৫.১ ধারা ভঙ্গ করেছেন তিনি। এ প্রেক্ষিতে মো. আবুল কালাম গাজীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদকে চিঠি দেয়া হয়। চিঠিতে এ শিক্ষককে বরখাস্ত করতে বলা হয়েছিলো।
কিন্তু মো. আবুল কালাম গাজীকে চূড়ান্ত বরখাস্তের বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন গ্রহণ না করে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান তাকে পুনরায় চাকরিতে বহাল করেছেন। এদিকে তথ্য গোপন করে মো. আবুল কালাম গাজী সহকারী অধ্যাপক স্কেলে বেতন ভাতা গ্রহণ করছেন।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পাঠানো শোকজ নোটিসে বলা হয়, মো. আবুল কালাম গাজী চূড়ান্ত বরখাস্তের বিরুদ্ধে বিষয়ে তথ্য গোপন করে সহকারী অধ্যাপক স্কেলের জন্য আবেদন করে এবং কাম্য জেষ্ঠতা না থাকা সত্বেও সহকারী অধ্যাপক পদে বেতনভাতা গ্রহণ করে এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো-২০১৮ এর ২৫.১.৫ ধারা ভঙ্গ করেছেন।
তাই একই সাথে ২ প্রতিষ্ঠানে চাকরি এবং তথ্য গোপন করে সহকারী অধ্যাপকের স্কেল গ্রহণ করায় কেন তার এমপিও বাতিল করা হবেনা তার ব্যাখ্যা মো. আবুল কালাম গাজীকে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে।