বেতন তুলতে এসে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়মটি রক্ষা করলেন না শিক্ষকরা। তবে তাঁরা দোষ চাপালেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ওপর। মানিকগঞ্জ পৌরসভার কালিবাড়ী এলাকায় শহীদ রফিক সড়কে একটি ভবনের দোতলায় রূপালী ব্যাংক। রোববার সকালে দেখা গেল ব্যাংকের সামনে রাস্তার পাশ ঘেঁষে মানুষের লম্বা লাইন। রাস্তা থেকে দোতলায় ব্যাংক পর্যন্ত গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন নারী-পুরুষ।
আলাপ করে জানা গেল তাঁরা সবাই মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বেতন তুলতে এসেছেন। কিন্তু ব্যাংকের ভেতর একবারে দুজনের বেশি ঢুকতে না দেওয়ায় তাঁরা রাস্তায় লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
রাস্তায় যানবাহন এবং পথচারী চলাচল করায় তাঁরাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারছেন না। তাঁরা আরো জানান, আগে রূপালী ব্যাংকের নিচে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারতেন।
কিন্তু বুথ বন্ধ করে দেওয়ায় লাইনে দাঁড়িয়ে ব্যাংক থেকে বেতনের টাকা তুলতে হচ্ছে। তাঁরা এটিএম বুথ আবারও চালু করার দাবি জানান।
তবে শিক্ষকদের এই যুক্তি মানতে নারাজ অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষক আতোয়ার রহমান।
শিক্ষকদের লাইনে দাঁড়ানোর দৃশ্য দেখিয়ে তিনি বলেন, সংকট মুহূর্তে শিক্ষকরাই যদি এই সহজ নিয়মটি রক্ষা না করতে পারেন তাহলে তাঁরা কী দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। শিক্ষার্থীদের তাঁরা কী শিক্ষা দেবেন। বিষয়টিকে তিনি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করলেন।