নকল মাস্ক সরবরাহ : ঢাবির সেই রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু - দৈনিকশিক্ষা

নকল মাস্ক সরবরাহ : ঢাবির সেই রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

ঢাবি প্রতিনিধি |

দেশে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের ঘটনা তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। এ ঘটনায় অনিয়ম খুঁজে পেলে গ্রেফতার করা হবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী শারমিন জাহানকে।তিনি  ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার। গত বৃহস্পতিবার রাতে বিএসএমএমইউর প্রক্টর অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ বাদী হয়ে শারমিন জাহানের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশি তদন্তে শারমিন জাহান ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজনের নাম উঠে আসতে পারে বলে জানা গেছে। গতকাল পুলিশের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মামলা করায় ওইদিন আমরা তদন্ত শুরু করতে পারিনি। তবে গতকাল থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আমরা খুটিনাটি সবকিছু খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি। আশা করি খুব দ্রুতই তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানাতে পারব। মামলার এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি আরও জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন-১ শাখায় সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত শারমিনের মালিকানাধীন অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল ২৭ জুন ১১ হাজার মাস্ক সরবরাহের কার্যাদেশ পায়। এই কার্যাদেশের বিপরীতে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল ৩০ জুন প্রথম দফায় ১৩০০, ২ জুলাই দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ৪৬০ ও ১০০০ এবং চতুর্থ দফায় ৭০০ মাস্ক সরবরাহ করে। তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় পণ্য সামগ্রিক গুণগত মানের স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করা হয়।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, কোন কোন ফেইস মাস্কের বন্ধনি ছিঁড়ে গেছে, কোন মাস্কের ছাপানো ইংরেজিতে লেখা ত্রুটিপূর্ণ পাওয়া গেছে। এ ধরনের ত্রুটিতে কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে, মাস্ক নিম্নমানের ছিল। এর ফলে কোভিড-১৯ সম্মুখযোদ্ধাদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারত। এ বিষয়ে ১৮ জুলাই অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী শারমিন জাহানকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয় বিএসএমএমইউ। ২০ জুলাই লিখিত জবাবে শারমিন দুঃখ প্রকাশ করেন, যা আসামির দোষ স্বীকারের শামিল। ফলে বিষয়টি আমলে শারমিন জাহানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শারমিন জাহান জানান, আমরা নকল মাস্ক সরবরাহ করিনি। এসব প্রোডাক্ট চীন থেকে ইম্পোর্টেড। এগুলোতো আমরা তৈরি করিনি। আমরা শুধু সাপ্লাই দিচ্ছি। তিনি আরো জানান, প্রডাক্ট খারাপ হলে, বিএসএমএমইউ প্রথমবারই আমাদের বলতে পারত। আমরা সেটা যাচাই করে দেখতে পারতাম। আইনি প্রক্রিয়ায় অভিযোগের মোকাবিলা করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, মামলা যেকেউ করতে পারে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজে স্নাতকোত্তর শারমিন ২০০২ সালে ছাত্রলীগের বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের গত কমিটিতে তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক ছিলেন। বর্তমান কমিটিতে কোন পদ না পেলেও দলের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। শারমিন ২০১৬ সালের ৩০ জুন স্কলারশিপ নিয়ে চীনের উহানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। গত ২৩ জানুয়ারি থেকে উহানে লকডাউন শুরু হলে তিনি দেশে ফিরে আসেন। তার শিক্ষা ছুটির মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি। এর মধ্যে চীনে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের মার্চে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল নামে সরবরাহকারী নিজের ব্যবসা শুরু করেন। কয়েক দফায় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে ৮০-৯৫ লাখ টাকার মাস্ক সরবারহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বিএসএমএমইউ এর কয়েকজন কর্মকর্তাও। তদন্ত প্রতিবেদন ৬ সেপ্টেম্বর-এদিকে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ মামলার এজহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037150382995605