নতুন স্কেলে কল্যাণের টাকা পেতে আবার আবেদন, শিক্ষকদের ক্ষোভ - দৈনিকশিক্ষা

নতুন স্কেলে কল্যাণের টাকা পেতে আবার আবেদন, শিক্ষকদের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

নতুন স্কেলে কল্যাণ ট্রাস্টের বাকি টাকা পেতে আবার নতুন করে আবেদন করতে হবে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের পহেলা জুলাই এর পর যারা অবসরে গেছেন এবং পুরানো স্কেলে কল্যাণ ট্রাস্টের আংশিক টাকা পেয়েছেন, নতুন স্কেলে বাকি টাকা পেতে তাদেরকে আবার আবেদন করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ। এই হঠাৎ সিদ্ধান্তে ভোগান্তিতে পড়তে হবে এমন আশঙ্কায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, প্রায় তিন মাস পর অবসর বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট নতুন করে গঠন হয়েছে। ট্রাস্টের আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন স্কেলে যারা কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পাওয়ার কথা, অর্থ সংকটের কারণে তাদের পুরনো স্কেলে আংশিক টাকা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তাদেরকে নতুন স্কেল অনুযায়ী পুরো টাকা পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। কিন্তু আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) কল্যাণ ট্রাস্টে গিয়ে শুনতে পাই অবশিষ্ট টাকার জন্য নতুন করে আবেদন করতে হবে।

এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষকরা বলছেন, অনেক দিনের প্রচেষ্টায় প্রয়োজনীয় নানা ধরনের কাগজপত্র জোগাড় করে অবসর ও কল্যাণের টাকা পাওয়ার জন্য একবার আবেদন জমা দিয়েছি। সেই আবেদনে পুরনো স্কেলের অংশ পেয়েছি। নতুন স্কেলের অংশ পাওয়ার জন্য নতুন করে আবেদন নেয়া তুঘলকি সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছুই না। একাংশ টাকা দেয়ার সময় যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। বাকী অংশ দেয়ার জন্য নতুন করে আবেদন চাওয়ার মানে নতুন ভোগান্তি, সময়ক্ষেপণ।

জানা গেছে, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের পহেলা জুলাই নতুন বেতন স্কেল ঘোষণার পর যেসব বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসরে গেছেন সেই সব আবেদনকারীদের মধ্য থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের আংশিক টাকা পেয়েছেন পুরানো বেতন স্কেল অনুযায়ী। নতুন বেতন স্কেল অনুযায়ী তাদের প্রায় সমপরিমাণ টাকা পাওয়ার কথা রয়েছে। শিক্ষকরা বলছেন, কয়েক বছরের ব্যবধানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে অনেকের যোগাযোগ নেই। প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ কর্তৃপক্ষের সাথে আবার অনেকের রয়েছে বৈরী সম্পর্ক। আবার অনেকে শারিরীকভাবেও তেমন সুস্থ নেই। এসব কারণে নতুন করে কাগজপত্র জোগাড় করে আবার আবেদন করতে গিয়ে নানা হয়রানির শিকার হতে হবে। আবার অনেকে এরই মধ্যে মারা গেছেন। যারা মারা গেছেন, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আবার আবেদন করা আরো কঠিন।

অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের এসব সমস্যার কথা বিবেচনা করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত পরিহার করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের - dainik shiksha অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের - dainik shiksha হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা - dainik shiksha মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো - dainik shiksha ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0068278312683105