এমপিওভুক্ত না হতে পেরে নবসৃষ্ট পদে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা ঘুরছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং এনটিআরসিএ অফিসে। বেসরকারি স্কুল কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে বৃদ্ধি পাওয়া পদগুলোতে এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে বিধান মতো যোগদান করেও এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না তারা। নবসৃষ্ট পদে যোগদান করে নিয়মিত পাঠদান করছেন ঠিকই। সোমবার (১১ নভেম্বর) শিক্ষা ভবনে এসেছিলেন প্রায় ৫০ জন শিক্ষক। তারা দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছেন তাদের কষ্টকথা। এমপিওভুক্তির জন্য তারা শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও মাউশি অধিদপ্তরের ডিজির হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
জানা যায়, গত ৩০ মে স্কুলের ৯টি এবং কলেজের ৭টি পদে নবসৃষ্ট পদে নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যদিও গত ফেব্রুয়ারিতে এসব শিক্ষক এনটিআরসিএর সুপারিশ পেয়ে নবসৃষ্ট বিভিন্ন পদে যোগদান করে পাঠদান করে চলছেন। নবসৃষ্ট পদে নিয়োগের আদেশে নির্ধারিত অর্থবছরের আগে নিয়োগ কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না উল্লেখ থাকলেও এনটিআরসিএর মাধ্যমে চলতি বছরের শুরুতে নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন তারা। তাই তাদের এমপিওভুক্তির বিষয়টি আটকে যায়।
সম্প্রতি, এনটিআরসিএর মাধ্যমে সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকদের যোগদানের তারিখ থেকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নবসৃষ্ট পদের আদেশ জারির পর শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা হলে কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এসব শিক্ষকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা পেতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তথ্য পাঠানো হবে।
সে প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে এসেছিলেন নবসৃষ্ট পদে নিয়োগ পাওয়া প্রায় পঞ্চাশ জন শিক্ষক। তাদের দাবি, শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, সে তালিকায় তাদের নাম নেই। শিক্ষকরা জানান, ভৌতবিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা পদদুটি আগেও ছিল। পূর্বের এমপিও নীতিমালাতে পদের নাম পরিবর্তন হওয়ায় তাদের এমপিওভুক্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে যখন তথ্য চাওয়া হয়েছিল, আগে অন্য নামে পদের প্রাপ্যতা থাকায় তাদের নামের তালিকা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠায়নি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এসময় শিক্ষকরা আরও অভিযোগ করেন, তাদের সুস্পষ্ট সমাধান কেউই দিচ্ছেন না। এনটিআরসিএতে সমাধানের জন্য গেলে বলা হয় শিক্ষা অধিদপ্তরে যেতে, যেহেতু আমাদের যোগদান হয়েছে ও এমপিওর বিষয়টি শিক্ষা অধিদপ্তরের হাতে। তবে, শিক্ষা অধিদপ্তর থেকেও আমাদের কিছু জাননো হচ্ছেনা। অনেক সময় কর্মকর্তারা বিরক্ত হচ্ছেন। কিন্তু আমরা ৮ মাস চাকরি করে-ক্লাস নিয়েও বেতন পাচ্ছিনা। তাই, এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানতে শিক্ষা অধিদপ্তরে এসেছেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।