প্রশ্নফাঁসের গুজব রোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নজরদারিতে : গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - দৈনিকশিক্ষা

প্রশ্নফাঁসের গুজব রোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নজরদারিতে : গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসন বলেছেন, সারাদেশে সুষ্ঠুৃভাবে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ পরীক্ষা সুন্দরভাবে সম্পাদন করতে মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেলের সঙ্গে জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। 'প্রশ্নফাঁসে গুজব' রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি করছে। পরীক্ষার আগে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'প্রশ্নফাঁসের গুজব' ছড়ানোর বিষয়টিও নজরদারি করা হচ্ছে। কয়েকটি লিংক শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

রোববার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

তবে জানা যায়, এসময় তিনি বেশ কয়েকজন নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। এতে হলে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে সমস্যা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক। 

আজ রোববার (১৭ নভেম্বর) থেকে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এ পরীক্ষা। প্রতিদিন সকাল সাড়ে দশটা থেকে শুরু হয়ে দুপুর একটা পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। তবে, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় পাবেন। প্রতিটি বিষয়ে ১০০ নম্বর করে ৬ বিষয়ে মোট ৬০০ নম্বরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আজ প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীর ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

চলতি বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় ২৯ লাখ ৩ হাজার ৬৩৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন। এদের মধ্যে ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৭ জন পরীক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং ৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৭১ জন পরীক্ষার্থী ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। 

জানা গেছে, সারাদেশে ৭ হাজার ৪৫৮টি কেন্দ্রে ইবতেদায়ি ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩ হাজার ৯৩১টি কেন্দ্র এবং হাইস্কুল ও মাদরাসায় ৩ হাজার ৫২৭টি কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া আটটি দেশের ১২টি কেন্দ্রে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

চলতি বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১১ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ জন। অপরদিকে ছাত্রী সংখ্যা ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৯৬৭ জন। গত বছরের তুলনায় এবার শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৬১৫ জন। এদিকে, ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন ৩ লাখ ৩০ হাজার ৩৭১ জন পরীক্ষার্থী। যার মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮২ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার ২৮৯ জন। গত বছরের তুলনায় এবার ৩০ হাজার ৯৮৩ জন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৩ হাজার ৩৪৭ জন এবং ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২৩৬ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। 

এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৪ জন।

বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্ন পাঠানো হয়েছে। প্রশ্ন থানা বা ট্রেজারি হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরীক্ষার দিন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বজায় রেখে প্রশ্নপত্র উপজেলা থেকে কেন্দ্র সচিবের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। দুর্গম এলাকার ১৮৪টি কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

প্রতি বছরের মতো এবারও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রতিটি জেলায় পরীক্ষা পরিদর্শনের জন্য ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অনুরোধ করা হয়েছে।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের - dainik shiksha অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের - dainik shiksha হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা - dainik shiksha মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো - dainik shiksha ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032739639282227