প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ১৫ মার্চ শুরু - দৈনিকশিক্ষা

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ১৫ মার্চ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আগামী ১৫ মার্চ থেকে শুরু হবে।  এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এবার পরীক্ষা পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিপ্তর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, অন্য বারের চেয়ে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী আবেদন করেছেন। গত বছরের ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে ২৪ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

আবেদনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪ লাখ ৫২ হাজার ৭৬০, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৫, রাজশাহী বিভাগে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৯২৫, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩০, বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮২৭, সিলেট বিভাগে ১ লাখ ২০ হাজার ৬২৩, রংপুর বিভাগে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৩৬৮ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২ লাখ ৮২ হাজার ৪৩৭ জন আবেদন করেছেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিপ্তর  কর্মকর্তারা জানান, সর্বশেষ নিয়োগে প্রায় ১২ লাখ প্রার্থী আবেদন করেছিল। এই হিসাবে আবেদনকৃত প্রার্থীর সংখ্যা এবার দ্বিগুণ। গত নিয়োগে সারাদেশে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৬২। এবার দ্বিগুণ প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয় ২০ সেটের বেশি প্রশ্ন তৈরি করা হতে পারে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরিসহ পরীক্ষা গ্রহণে নেতৃত্ব দেয় ডিপিই। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আরও কড়াকড়ি আনা এবং সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে এবার প্রশ্ন নির্বাচন ও আসন বিন্যাস নির্ধারণ করবে মন্ত্রণালয়।

নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। পরীক্ষার সময়সূচি, ওএমআর ফরম ডিজাইন ও মূল্যায়ন, ফলাফল প্রকাশ কার্যক্রম কোন পদ্ধতিতে করা হবে তা নিয়ে বুয়েটের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এবারও আগের মতই লিখিত ও মৌখিক দুই স্তরেই পরীক্ষা নেয়া হবে। আগের নিয়ম অনুযায়ী এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষা ৮০ নম্বর ও ভাইভায় ২০ নম্বর থাকবে।

জানা গেছে, বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৬৪ হাজার ৮২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক শূন্য রয়েছে। এ কারণে নতুন করে আরও ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পুরনো নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তার আলোকে নারী আবেদনকারীদের ৬০ শতাংশ কোটায় এইচএসসি বা সমমান পাস এবং পুরুষের জন্য ৪০ শতাংশ কোটায় স্নাতক বা সমমান পাস চাওয়া হয়।

প্রার্থীরা dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়া ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশাবলী এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) পাওয়া যাবে।

 

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের - dainik shiksha অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের - dainik shiksha হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা - dainik shiksha মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো - dainik shiksha ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038521289825439