নীলফামারীর ডোমার উপজেলাসহ পুরো জেলার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ঘোষিত ফলাফল ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নীতিমালা না মানায় ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। এতে ২৬৬ জনের ফল স্থগিত হয়েছে।
একইসঙ্গে প্রকাশিত ফল কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। বুধবার এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম ও ব্যারিস্টার বাবুল আহমেদ।
প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলির ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী, ২০ শতাংশ পৌষ্য প্রার্থীদের এবং বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থী থাকবে।
অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম বলেন, গত ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে আইনের বিধান অনুসরণ করা হয়নি। তাই প্রতিকার চেয়ে নীলফামারীর ২০ জন নিয়োগপ্রার্থী ওই ফলাফলের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ২ জেলার ফল স্থগিত করে রুল জারি করেন।
এর আগে মঙ্গলবার সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারি করা হয়। প্রসঙ্গত, গত ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে বাছাই করে ফলাফল প্রকাশিত হয়।