সাধারণত প্রতি মাসের ৩ থেকে ৪ তারিখের মধ্যেই বেতন পান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না।
আজ রোববার দৈনিক শিক্ষার এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, করোন নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যেও শিক্ষকদের বেতন প্রদানে কোনো বিলম্ব হবে না। সাধারণ ছুটি ঘোষণার আগেরদিনই আমরা শিক্ষকদের বেতন যার যার অ্যাকাউন্টে পাঠানোর আদেশ জারি করেছি।
তিনি বলেন, “শিক্ষকদের বেতনের অর্থ ছাড় করা হয়েছে। আগের মতোই নির্দিষ্ট সময়ে তাদের অ্যাকাউন্টে বেতন জমা হবে। এ বিষয়ে শঙ্কার কিছু নেই।”
এদিকে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি প্রদানসহ সব ধরনের লেনদেনের জন্য দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোকে ২ দিন (১ ও ২ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট থেকে বুধবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেয়া নভেল করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ রোধে সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল মেয়াদে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। ছুটিকালীন সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা (নগদ উত্তোলন ও জমা) চালু রাখা হবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি প্রদানসহ সব ধরনের লেনদেন সম্পন্নের জন্য বিইএফটিএন প্লাটফর্মটি এ দুই দিন চালু থাকবে।