ফুলবাড়ীয়ায় প্রভাবশালী দুই পরিবারের দ্বন্দ্বে স্থানীয় দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন ও খেলার মাঠ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটি হলো উপজেলার কালাদহ গ্রামে অবস্থিত জনতা উচ্চ বিদ্যালয় ও জনতা মহাবিদ্যালয়। পরিবার দুটো নিজেদের মধ্যে রেষারেষি করে সরকারি পয়ঃপ্রণালী বন্ধ করে দেয়ায় ক্ষয়-ক্ষতির এ ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী জনান, স্থানীয় প্রভাবশালী ফারুক খানদের পারিবারিক দ্বন্দ্বের ফলে প্রায় আড়াই মাস পূর্বে পানি নিষ্কাশনের জন্য এলজিইডি সড়কের নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া সরকারি পাইপ ও কালভার্টের উভয় মুখ ইট সুরকি দিয়ে বন্ধ করে দেয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে জনতা উচ্চ বিদ্যালয় ও জনতা মহাবিদ্যালয়ের হাফবিল্ডিং টিনশেড ঘর দক্ষিণ পাশ দিয়ে অনেকটা দেবে গেছে। পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়কটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। বিদ্যালয়ের মাঠ কর্দমাক্ত হয়ে যাওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। সম্প্রতি এ সড়কটির সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু জলাবদ্ধতার কারণে সড়কটিতে কার্পেটিংও করতে পারছে না দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে জলাবদ্ধতায় কৃষকের কয়েক একর জমির বোরো ধান, সবজির বাগান, ও ফিশারি পানিতে তলিয়ে গেছে। দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটক ও সংলগ্ন বাড়ি ঘরের উঠানে থৈ থৈ করছে পানি। পানি নিষ্কাশনের জন্য রাতের আধাঁরে বিদ্যানন্দন থেকে কালাদহ সড়কটি বিশাল আকারে কেটে ফেলা হয়েছে। সে কাটা সড়কের সামনের অংশও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সড়ক কেটে ফেলায় কৃষকরা তাদের ফসল বাজারে ওঠাতে না পারায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কালাদহ ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সমাধান করতে বলেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সাইদুল ইসলাম খান বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ কালভার্টের মুখের অংশ ইট সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ফারুক খান। ইউএনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চেয়ারম্যান সাহেব ও আমাকে বিষয়টি সমাধানের করতে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তা সমাধানে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।
কালাদহ জনতা মহাবিদ্যালয়ের বিএম শাখার প্রভাষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়কটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠান দুটির মাঠ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। ফলে মাঠ দিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চলাচল দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।