পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সন্ধ্যা নদীর তীরে চিরাপাড়া চরে কয়েক দিন আগে অস্থায়ী বসতি গড়েছে ২০টি বেদে পরিবার। বছরের প্রথম দিন বিদ্যালয়ে যাওয়া শিশুরা নতুন বই পেলেও যাযাবর বেদে শিশুরা পায়নি কোনো বই। স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ও কাউখালী প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল লতিফ মঙ্গলবার সকালে ২২ জন বেদে শিশুর হাতে তুলে দিয়েছেন বই, খাতা ও পেন্সিল।
নতুন বই পাওয়ার আনন্দে শিশুদের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক। অভিভূত হয়েছেন শিশুদের বাবা-মা। বেদেপল্লির সরদার মনির হোসেন বলেন, ‘স্থায়ীভাবে বসবাস না করায় ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয় না। এ কারণে ওরা লেখাপড়া করে না। আবদুল লতিফ আমাদের শিশুদের হাতে বই তুলে দিয়েছেন। বাচ্চারা নতুন বই পেয়ে খুশি। আমি নিজে (মনির) মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। প্রতিদিন শিশুদের আমি কিছু সময় বই পড়ানোর চেষ্টা করব।’
কাউখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত রায় বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়া একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
আবদুল লতিফ বলেন, ‘বেদেরা স্থায়ীভাবে বসবাস না করায় তাদের শিশুদের বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া বা পড়াশোনা করার সুযোগ হয় না। বেদে সরদারের সঙ্গে কথা বলে জানলাম, তিনি কিছু লেখাপড়া জানেন। সরদারের সঙ্গে আলোচনা করে শিশুদের শিক্ষা উপকরণ দিলাম। বেদে সরদার প্রতিদিন শিশুদের কিছু সময় পাঠদান করবেন। যাতে শিশুরা নিজেদের নাম লিখতে ও বই পড়তে পারে।’