কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় বিনা মূল্যে বিতরণের বই টাকা নিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ২৩ নং পানান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আফাজ উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে এ সংক্রান্ত নির্দেশ পৌঁছায়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম মাওলা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ের সব ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার থেকে আদেশটি কার্যকর হবে বলে তিনি জানান।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তে ভৈরব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সোহাগ হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে হোসেনপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান প্রাথমিক তদন্ত শেষে বলেন, বিনা মূল্যের বিতরণের পাঠ্যবই টাকার বিনিময়ে দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ৭ জানুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মাওলার মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়।
তবে টাকা নেওয়ার বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আফাজ উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ঘাটতি থাকায় ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে দুজন খেলাধুলার শিক্ষক রাখা হয়েছে। প্রতি মাসে তাঁদের তিন হাজার টাকা করে সম্মানী দিতে হয়। এ টাকা জোগাড় করতেই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে ২০ টাকা চাঁদা ধরা হয়েছিল। তবে শিক্ষার্থীরা টাকাটা দিতে চায় না বলে বই বিতরণের আগে তা আদায় করা হয়।