বরিশালের বাবুগঞ্জে বখাটে কর্তৃক উত্যক্ত ও শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত হওয়া মারুফা আক্তার মুন্নি (১৭) নামের এক কলেজছাত্রী কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। গত বুধবার (১৬ই আগস্ট) রাতে এই ঘটনায় তিন বখাটেকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো- কলেজ ছাত্রীকে উত্যক্তকারী চাচাত ভাই কাওসার হোসেন এর সহযোগী মো. স্বপন বকসি (১৮), মোঃ ছান্টু (৩৫) ও মোঃ মাকসুদ (৩৫)। বুধবার রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্তদের আটক করা হয়। তবে প্রধান আসামি কাওসার পলাতক রয়েছে।
তাছাড়া মেয়েকে যৌন হয়রানি এবং শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে ছাত্রীর বাবা উপজেলার কেদারপুর এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে বাবুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, স্থানীয় সোনার বাংলা হাইস্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মারুফা আক্তার মুন্নী। কলেজে যাবার পথে গত বুধবার তাকে উত্যক্ত ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তারই চাচাত ভাই ভ্যান চালক কাওসার হোসেন ও তার সহযোগিরা।
এ ব্যাপারে ওই ছাত্রী কলেজে গিয়ে শিক্ষকদের কাছে বখাটেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়। তখন শিক্ষকরা কাওসারসহ বখাটেদের ডেকে এনে গালমন্দ এবং পরবর্তীতে এমন কর্মকান্ড করে থাকলে পুলিশ দিয়ে ধরানোর হুমকি দেয়।
এতে ক্ষিপ্ত হয় কাওসার ও তার সহযোগিরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে কলেজ ছাত্রী মুন্নীকে দ্বিতীয় দফায় পথরোধ করে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। এতে রাগে রাগে-ঘৃনায় কলেজ ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
ওসি বলেন, ঘটনার পর পরই ওই ছাত্রীকে পরিবারের লোকেরা উদ্ধার করে রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। তাছাড়া ছাত্রীর বাবা থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গভীর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করেছে। তবে পালাতক প্রধান আসামি কাওসারকে আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।