জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
রোববার (৬ই আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগ, দোয়েল চত্বর থেকে সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মানববন্ধন করে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সসহ বিভিন্ন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দাবি করেন, ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কিন্তু খুনীরা এখনও গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে রোববার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে স্মারকলিপি দেয় ছাত্রলীগ।
স্মারকলিপিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে বলা হয়, ‘দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের ফাঁসির রায় হয়ে যাওয়ার পরও দেশে ফিরিয়ে আনতে না পারায় সমগ্র জাতির মতোই ছাত্রলীগ হতাশ ও চিন্তিত। তাই আমাদের বিশ্বাস, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের স্বঘোষিত খুনিদের দেশে এনে ফাঁসির মঞ্চে তুলে খুনের রাজনীতি বন্ধে পৃথিবীতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে আপনার মন্ত্রণালয়।’
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া পলাতক সাত আসামির মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে অবস্থান করার সময় মারা গেছেন। বাকি ছয়জনের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ পাকিস্তানে, লে. কর্নেল নূর চৌধুরী ও লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম কানাডায় এবং রিসালদার মোসলেউদ্দিন থাইল্যান্ডে, লে. কর্নেল এম এ রাশেদ চৌধুরী আফ্রিকায় এবং অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ কেনিয়ায় অবস্থান করছেন।