বদরুন্নেছা কলেজে চাঁদাবাজি : করোনাকালে সব ছাত্রীকে হাজির হওয়ার নির্দেশ - দৈনিকশিক্ষা

বদরুন্নেছা কলেজে চাঁদাবাজি : করোনাকালে সব ছাত্রীকে হাজির হওয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

নিয়ম বহির্ভুত ফি আদায়ে রাজধানীর বেগম রদরুন্নেসা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির নতুন ছাত্রীদের কলেজে আসার নির্দেশ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলেজে জমায়েত হয়ে ছাত্রীদের প্রসপেক্টাস, আইডি কার্ড, মনোগ্রাম ও ফাইল নিতে বলা হয়েছে। এজন্য কলেজকে দিতে হবে ২২০ টাকা। যদিও ছাত্রীদের অভিভাবকরা বলছেন এসব বিষয়ে ৫০ টাকার বেশি খরচ হবে না। তাদের অভিযোগ, অতিরিক্ত ফি আদায়ে কৌশলে কলেজে ছাত্রীদের জমায়েত করা হচ্ছে। এভাবে কলেজের দুই হাজার ছাত্রীর কাছ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত আদায় করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। স্টাফ কাউন্সিলের কতিপয় প্রভাবশালীর এমন চাঁদাবাজিতে সায় নেই কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিকুন নাহারের। কিন্তু তিনি অসহায়।

জানা গেছে, সম্প্রতি একাদশের সব ছাত্রীদের মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে ২২০ টাকা খামে ভর্তি করে কলেজে আসতে বলেছে কর্তৃপক্ষ। গত ১৭ ও ১৮ অক্টোবর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ছাত্রীদের কলেজে জমায়েত করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাদের কাছ থেকে ২২০টাকা করে নেয়া হয়। এদিকে মঙ্গলবার বিজ্ঞান শাখার ছাত্রীদের জমায়েত করে টাকা নেয়া হয়েছে। আজ বুধবারও চলবে টাকা নেয়া।  

যদিও করোনাকালে ছাত্রীদের প্রতিষ্ঠানে জমায়েত করা নিয়ে প্রশ্নতুলেছন। আর প্রসপেক্টাস, আইডি কার্ড, মনোগ্রাম ও ফাইল নিতে ২২০ টাকা ফি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 

অভিভাবকরা অভিযোগ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমে বলেন, করোনাকালে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে যেখানে সরকার অনলাইনে ক্লাস শুরু করেছে, সেখানে শুধু ফি দিতে ছাত্রীদের আসতে বলেছ। প্রসপেক্টাস, আইডি কার্ড, মনোগ্রামের কোন কাজ কলেজ খোলার আগে দরকার হবে না। তাছাড়া আাইডি কার্ডের টাকা ভর্তির ফিয়ের সঙ্গেই নেয়া হয়েছে। তবুও, তাদের এখনই টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রসপেক্টাস, আইডি কার্ড, মনোগ্রাম ও ফাইল ৫০ টাকা খরচে করা সম্ভব। কিন্তু ২২০ টাকা নেয়া হয়েছে। এভাবে ২ হাজারের বেশি ছাত্রীর থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে। টাকা আদায়ের কোন রশিদও দেয়া হচ্ছে না। খামে করে টাকা দিয়ে যেতে বলা হয়েছে। 

তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, করোনা কালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধ করে, যাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে তা ফেরত নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। আর এ ধরণের অনিয়ম বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। 

তবে, কলেজের সাথে সংশ্লিষ্টদের দাবি, ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে টাকা আদায় করা হচ্ছে। কোন অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে না। ছাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলেজে এসে ফি দিয়ে গেছেন।

মতামত জানার জন্য চেষ্টা করেও শিক্ষকদের পাওয়া যায়নি। 

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের - dainik shiksha অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের - dainik shiksha হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা - dainik shiksha মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো - dainik shiksha ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0048320293426514