বদলির আদেশ অমান্য করায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ওই কর্মচারীর নাম মো. মাসুদ ফরহান। সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে শোকজ নোটিশ দিয়ে আগামী তিন দিনের মধ্যে বদলির আদেশ অমান্য করার ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর এক অফিস আদেশে মো. মাসুদ ফরহানকে বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর থেকে রসায়ন বিভাগে উর্ধ্বতন সহকারী পদে বদলি করা হয়। ওইদিনই এই আদেশ গ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু এখনো যোগ দেননি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, বদলির আদেশ অমান্য করা কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃঙ্খলা) সংবিধির ৩ ধারা অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তবে অভিযোগ রয়েছে এই নোটিশ পাওয়ার পর বদলি না করতে প্রশাসনকে নানা ভাবে চাপ দিচ্ছেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক। অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক উপাচার্যের কাছে গিয়ে মো. মাসুদ ফরহানকে বদলি না করার সুপারিশ করেছেন।
তবে, মো. মাসুদ ফরহানকে বদলি না করার কোনো সুপারিশ করেননি বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কোনো কর্মচারীর জন্য সুপারিশ করিনি। আর ছাত্রলীগের এসব ঝামেলার মাসুদ ফরহান জড়িত কিনা তা তিনি জানাতে পারেননি।
এ বিষয়ে কর্মচারী মাসুদ ফরহান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অসুস্থ থাকার কারণে আমি গত দুদিন ক্যাম্পাসে যেতে পারিনি। এই কারণে ওই বিভাগে যোগদান করতে পারিনি। তাই আমাকে শোকজ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেতন ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি আজ অসহায়। আর ছাত্রলীগের এসব ঝামেলার বিষয়টি নিয়ে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটি হাস্যকর। আমি কি কোনো নেতা? যে আমার কথায় ভিএক্স-সিএফসি মারামারি করবে।’