এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৫ জন, আরব আমিরাতে ১ জন বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হলেও বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় প্রতিদিনের নিয়মিত ব্রিফিং এ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজন না হলে বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকা এবং বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা সেখানে ভাষাগত সমস্যায় পড়লে প্রয়োজনে আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করবেন।
চীনে আরও দেড়শ মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে নভেল করোনা ভাইরাস, মৃত্যু বাড়ছে চীনের বাইরেও। দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান ও ইতালিতে দ্রুত নতুন রোগী বাড়তে থাকায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব বিশ্বে আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬১৯ জনে, যাদের মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে চীনের বাইরে। বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
মধ্য চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস মানুষের দেহে এসেছে- সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। এ রোগের কোনো প্রতিষেধকও মানুষের জানা নেই।
আক্রান্ত রোগীদের লালা ও শ্লেষ্মা পরীক্ষা করে চীনা বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, নভেল করোনা ভাইরাস যেভাবে ছড়াচ্ছে, তাতে সার্সের চেয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার সঙ্গেই এর মিল পাওয়া যাচ্ছে বেশি। আগে যেমনটা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়েও সহজে এবং দ্রুত গতিতে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এতদিন নতুন করোনা ভাইরাসের প্রকোপ চীনের মধ্যেই ছিল বেশি। কিন্তু গত কয়েক দিনে চীনের বাইরে বিভিন্ন দেশে দ্রুত বাড়ছে নতুন রোগীর সংখ্যা।
ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়া ও ইতালি ভাইরাস উপদ্রুত এলাকাগুলো অবরুদ্ধ করে ফেলার মত কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে, কিন্তু মৃত্যুর মিছিল থামছে না।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, রোববার দেশটির মূল ভূখণ্ডে ৪০৯ জনের শরীরে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৬৪৮ জন।