এক ছাত্রকে টয়লেটে আটকে রেখে পরীক্ষায় অংশ নিতে না দেওয়ার অভিযোগে ক্লাস-পরীক্ষা বাদ দিয়ে তিন ঘণ্টা সড়ক আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ঢাকার মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) সকালে কলেজ অধ্যক্ষ মো: ইমাম হোসেনের অপসারণ দাবি করে কলেজ ক্যাম্পাসে মিছিল শুরু করে এবং এক পর্যায়ে বেলা পৌনে ১২টার দিকে কলেজের সামনে দারুস সালাম সড়ক অবরোধ করে।
তাদের এই অবরোধের কারণে মিরপুর থেকে গাবতলী ও শ্যামলীর দিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয় মিরপুর এলাকার যাত্রীদের।
বিকাল ৩টার দিকে আন্দোলনকারীরা সড়ক থেকে সরে গেলে ওই সড়কে আবার যান চলাচল শুরু হয়।
কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র নাহিদ হাসানকে রোববার কলেজের টয়লেটে আটকে রাখা হয়।
“এ কারণে সে একাদশ শ্রেণির ষান্মাষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। আমরা এই প্রিন্সিপালের অপসারণ চাই।”
ওই ঘটনার প্রতিবাদে এবং জড়িত শিক্ষকদের শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভে ছাত্রলীগ কর্মীরাও যোগ দেয়।
বিকালে অবরোধ তুলে নেওয়ার পর বাংলা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান হোসেন জীবন বলেন, “আন্দোলন আজকের মতো শেষ করেছি। এরপর কী কর্মসূচি দেওয়া হবে তা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক হবে।”
কলেজের অধ্যক্ষ ইমাম হোসেন সেন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘একাদশ শ্রেণির একটি ষান্মাষিক পরীক্ষার সময় ওই ছেলেটি ঝামেলা করে। পরে ওই ছাত্রটিকে আটকে রাখতে বলি। কিন্ত ঘটনাটি এতদূর গড়াবে তা বুঝতে পারিনি। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
আন্দোলনকারীরা অধ্যক্ষেরও পদত্যাগের যে দাবি তুলেছে, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইমাম হোসেন সেন্টু বলেন, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে আমার নাম প্রস্তাব করা হচ্ছে এতে আমার অনেক সহকর্মী বিরোধীতা করছেন। হয়তো তারাই উসকে দিচ্ছেন। আমার পদত্যাগ দাবী করাচ্ছেন ছোট্ট একটি ঘটনা দিয়ে।’
জানা যায় বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা ইমাম হোসেন জামাত মনোভাবাপন্ন শিক্ষক।