চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায় শারমিন আক্তার (৯) নামে তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী ইউএনও মো. মাহবুব আলমের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পায়।
বুধবার ইউএনও উক্ত এলাকায় গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধের ব্যবস্থা করেন এবং দু‘টি স্বর্ণের কানের রিং জব্ধ করেন। ঐ দিন সন্ধ্যায় শারমিনের পিতা-মাতা ইউএনও-কে মেয়ের ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে মুছলেকা দেন। ইউএনও উক্ত ছাত্রীর নামে একটি শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থার ঘোষণা দেন।
জানা যায়, চুনতি ফারেঙ্গা এলাকার দিনমজুর মোহাম্মদ আলীর কন্যা শারমিন আক্তার স্থানীয় ফারেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। উক্ত ছাত্রীর সাথে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার খোয়ানক গ্রামের ছনখোলা পাড়ার মিয়া হোছনের ছেলে সৈয়দুল আলমের বিয়ের কথা হয়। খবর পেয়ে ইউএনও উক্ত ছাত্রীর বিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা করেন ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাহবুব আলম জানান, উপজেলায় যেখানে বাল্য বিয়ের খবর পাবেন সেখানে বাল্য বিয়ে বন্ধ করার জন্য তিনি ছুঁটে যাবেন।