সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ব্যাচেলর অফ এডুকেশন (বিএড) কোর্সে ভর্তির আবেদন চাওয়া হয়েছে। বিজ্ঞাপনে বিএড কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা হিসেবে বলা হয়েছে, কেবল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩ বছরের পাস কোর্সে স্নাতক অথবা চার বছরের সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি উত্তীর্ণরাই আবেদন করতে পারবেন।
অর্থাত্ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করা কেউ এ কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন না। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একটি সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান। এখানে যোগ্যতাসম্পন্ন যে কোনো নাগরিক ভর্তি হওয়ার অধিকার রাখেন।
একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ব্যক্তি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি কোর্সে কেবল ভর্তি হতে পারবেন, এরকম সিদ্ধান্ত দেয়া অন্য শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি।
আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএড কোর্সটি সারা বাংলাদেশের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের পেশাগত বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণের সবচেয়ে বড় মাধ্যম।
এমন সিদ্ধান্তের কারণে বর্তমানে কর্মরত এবং শিক্ষকতার পেশায় আসতে ইচ্ছুকরা প্রশিক্ষণ নিতে অনুত্সাহিত হবেন।
সমস্যা কেবল এখানেই শেষ নয়। পুরোনো সিলেবাসে যাঁরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ২ বছরে স্নাতক (পাস) এবং তিন বছরের স্নাতক (সম্মান) পাস করেছেন তাঁরা এই কোর্সে আবেদন করতে পারবেন না।
এ যেন নিজেদের দেয়া ডিগ্রিকে নিজেরাই অস্বীকার করা। এছাড়াও ২০০৮ সালে যাঁরা স্নাতক পাস করেছেন তাঁদের আবেদন অনলাইনে নেয়া হচ্ছে না।
এদিকে কর্মরত শিক্ষকদের সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অনুষদের ডীন মহোদয়ের কাছে আবেদন করতে বলা হয়েছে।দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষকদের কেবল একটি কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গিয়ে ধরনা দিতে হচ্ছে। যা ডিজিটাল বাংলাদেশের চেতনার পরিপন্থি বলে মনে করি।
কর্মরত শিক্ষকদের আবেদন গ্রহণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষের কাছে অর্পণ করা যেতে পারে। পরিশেষে বিএড ভর্তিসংক্রান্ত এই সমস্যা সমাধানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জয়দীপ দে,৫৩৩ পাহাড়িকা আবাসিক এলাকা,দক্ষিণ খুলশী, চট্টগ্রাম