বিক্ষোভের মুখে ফিরে গেলেন নতুন অধ্যক্ষ - দৈনিকশিক্ষা

বিক্ষোভের মুখে ফিরে গেলেন নতুন অধ্যক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সিলেটের জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে রাগীব আলী মনোনীত নতুন অধ্যক্ষ ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাগীব আলীর ভাতিজা আবদুল হান্নান নতুন একজন অধ্যক্ষকে তাঁর দপ্তরে বসাতে নিয়ে গেলে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-চিকিৎসকদের একটি অংশ প্রতিবাদ করে।

তাঁরা কলেজের ক্লাস ও হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করলে একপর্যায়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সকাল নয়টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত এমন বিক্ষোভ পরিস্থিতির মুখে রাগীব আলী মনোনীত নতুন অধ্যক্ষকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

নগরের পাঠানটুলা এলাকার দেবোত্তর সম্পত্তির তারাপুর চা-বাগান দখল ও সরকারি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় রাগীব আলীর নামে পৃথক দুটি মামলা হলে তিনি পালিয়ে ভারতে যান। ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জ অভিবাসন পুলিশের হাতে আটক হন রাগীব আলী। এরপর থেকে তিনি কারাবন্দী। গত ২ ফেব্রুয়ারি জালিয়াতির মামলার রায়ে এবং ৬ এপ্রিল সরকারের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় তাঁর ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়।

তারাপুর চা-বাগানে রাগীব আলী তাঁর স্ত্রী রাবেয়া চৌধুরীর নাম যুক্ত করে ১৯৯৫ সালে জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের নামে এটি পরিচালিত হচ্ছে।

মেডিকেল কলেজ প্রশাসন জানায়, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে রাগীব আলী মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষকে অধ্যক্ষ নিযুক্ত করেন। পরবর্তী সময় রাগীব আলী জেলে থাকা অবস্থায় আকস্মিকভাবে অধ্যক্ষ এ টি এম এ জলিলকে অপসারণ করা হয়। তখন থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মো. আবেদ হোসেন। গত ১৮ জুলাই পরিচালনা পর্ষদের সর্বশেষ জরুরি সভায় আবেদ হোসেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্তে কারাবন্দী রাগীব আলী ক্ষুব্ধ হন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকারী রাগীব আলীর ভাতিজা আবদুল হান্নান নতুন একজন অধ্যক্ষকে নিয়ে মেডিকেল কলেজে যান। নতুন অধ্যক্ষকে রাগীব আলী নিযুক্ত করেছেন বলে জানালে শিক্ষক, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় চারদিকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে নতুন অধ্যক্ষকে নিয়ে আবদুল হান্নান সমঝোতা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে নতুন অধ্যক্ষকে ফিরিয়ে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজ পরিচালনার সিদ্ধান্ত হলে আবদুল হান্নান ফিরে যান। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে আবদুল হান্নান এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবেদ হোসেন বলেন, বিষয়টি অভ্যন্তরীণ ছিল। তাই এ নিয়ে কথা বলার মতো কিছু হয়নি।

তবে বিক্ষোভ পরিস্থিতির মুখে কলেজ ও হাসপাতালে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পুলিশ মোতায়েন করা ছিল বলে  নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, উত্তপ্ত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ চাওয়া হয়েছিল। অবশ্য পুলিশ হাসপাতাল এলাকায় অবস্থানকালে কোনো ধরনের অঘটন ঘটেনি।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0073778629302979