বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট বিজ্ঞানবাক্সকে একটি স্বপ্ন তৈরির উপকরণ হিসেবে দেখেন অন্যরকম গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ। তার মতে, বিজ্ঞানবাক্সের সায়েন্স এক্সপেরিমেন্টগুলি করার ফলে শিশুরা নতুন কিছু তৈরি করার আত্মবিশ্বাস পাবে, এবং ভবিষ্যতে তারা দেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
বিজ্ঞানবাক্স তিনি বলেন, আমাদের শ্রেণিকক্ষে বিজ্ঞান শিক্ষা দেয়ার কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তাই আনন্দের সাথে বিজ্ঞান শেখানো কঠিন। বেশিরভাগ স্কুলে ল্যাবরেটরির যথাযথ ব্যবস্থা নেই। ফলে হাতে-কলমে বিজ্ঞান শেখানোটা কষ্টকর। এ সমস্যার নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স। অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স হলো বাংলাদেশের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র সায়েন্স কিট। অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্সে থাকে নানারকম উপকরণ, যা দিয়ে বিজ্ঞানের পরীক্ষণ করা যায়।
তবে অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্সের উদ্যোক্তা মাহমুদুল হাসান সোহাগ এটাকে শুধুমাত্র একটি বিজ্ঞানের পরীক্ষণভিত্তিক বাক্স হিসেবে দেখেন না। তার কাছে এটি একটি স্বপ্ন তৈরির উপকরণও। তার ভাষ্যমতে, ‘আমরা যখন প্রথাগতভাবে বই থেকে বিজ্ঞানের কোন থিওরি পড়ি এবং পরীক্ষাতে লিখি, তখন মজা তো দূরের কথা, এটা আমাদের কাছে তখন একটা কমপ্লিট বিরক্তিকর জিনিস!
কিন্তু এটাই যখন ওরা হাতে কলমে দেখছে, তখন যে আনন্দটা, সেই আনন্দের কারণে প্রথমত, তার মধ্যে একটা স্বপ্ন তৈরি হবে-আমি একদিন বিজ্ঞানী হবো! আমি একটা জিনিস নিজে বানাবো! আমরা মনে করি একটা বিজ্ঞানের উপকরণ বানানোর চাইতে অনেক বড় হচ্ছে শিক্ষার্থীর মধ্যে স্বপ্ন তৈরি করে দেয়া! এর মাধ্যমে সে পৃথিবীর অনেক রকম সমস্যার সমাধান করবে।’
‘দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে থিংকিংয়ের ডেপথে যাওয়া-কারণ আমি একটা জিনিস নিয়ে যত গভীরভাবে ভাববো, গভীরভাবে চিন্তা করবো, তত আমার ব্রেইন এক্টিভেটেড হবে’, যোগ করেন মাহমুদুল হাসান সোহাগ।
তিনি বলেন, ‘আমরা যা কিছু পড়ি , যেমন নিউটনের গতি সূত্র হয়তো আমাদের বাস্তবে কাজে নাও লাগতে পারে। একটা কঠিন অংক সমাধান করাটা হয়তো আমাদের ডিরেক্টলি কাজে না ও লাগতে পারে। কিন্তু এই জিনিসগুলোই যখন আমরা গভীরভাবে ভাববো, তখন যে আমাদের ব্রেইন এক্টিভেটেড হবে, ব্রেইন ম্যাচিউরড হবে, সেটা আমার এসেট হিসেবে থাকবে। যেটা সারাজীবন আমাকে অসাধারণ কাজ করতে সাহায্য করবে। তাই এইটাও আমাদের একটা উদ্দেশ্যের জায়গা। যারা আমাদের দেশের আমাদের নতুন প্রজন্ম, ওরা যখন বিজ্ঞানবাক্সের মধ্যে দিয়ে লার্নিংটা কে উপভোগ করবে,তখন যেন আগের জেনারশনের চাইতেও ব্রেইনটাকে আরও বেশি ইউজ করতে পারে পৃথিবীর কল্যাণে।’
জানা গেছে, এ পর্যন্ত ইংরেজি সংস্করণসহ মোট ১৭টি বিজ্ঞানবাক্স বের হয়েছে। আলো, তড়িৎ, চুম্বক, রসায়ন বিভিন্ন বিষয়ের পরীক্ষণ করা যায় বিজ্ঞানবাক্সগুলোতে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্যে বিজ্ঞানবাক্স নিতে চাইলে ১০ শতাংশ ছাড় থাকছে। সবগুলো বিজ্ঞানবাক্স দেখতে ভিজিট করুন https://tinyurl.com/ywp7mv9j লিংকে।