সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সালমান আহমদ (১৭) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র খুন হয়েছে। বুধবার সকালে বিশ্বনাথ উপজেলার নতুন বাজারে একটি বাসার গেটের সামনে থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার পূর্বগাঁও গ্রামের ছোটন মিয়ার ছেলে। সালমান চার বছর ধরে বিশ্বনাথ নতুন বাজার জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে থেকে পড়ালেখা করে আসছিল।
এ ঘটনায় পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রাসার অধ্যক্ষের ছেলে ও নিহত সালমানের সহপাঠী নাঈম আহমদকে (১৭) আটক করেছে। সালমানের লাশ যে বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার করা হয় সে বাড়ির মালিক মাদ্রাসার মুহতামিম (অধ্যক্ষ) মাওলানা শিব্বির আহমদের বড় ভাই মাওলানা রশিদ আহমদ।
বিশ্বনাথ থানার ওসি মো. আব্দুল হাই বলেন, ‘এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছি। আটক নাঈমের কাছ থেকে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে বলেন, তবে শিগগিরই এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে। সুরতহাল রিপোর্টে লাশের বুকের নিচের অংশে ধারালো অস্ত্রের একটি আঘাত রয়েছে।’
মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতের খাবার শেষে রাত সাড়ে ১০টায় ছাত্রাবাস থেকে বের হয় সালমান। এ সময় মোশাহিদুল ইসলাম নামের এক সহপাঠীকে বলেছে, সকালে ফিরে এসে জানাবে কোথায় গিয়েছিল। কিন্তু সকালে তার লাশ পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি ছাত্রাবাসের সুপার মোহাম্মদ ফখর উদ্দিনকে জানালে তিনি পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
যে বাসার সামনে সালমানের লাশ পাওয়া গেছে, ওই বাসার মালিক হাবিবুর রহমান বলেন, বুধবার ফজরের নামাজ শেষে স্থানীয় মুসল্লিরা বাসার সামনে এক যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।