বিশ্ববিদ্যালয় তদারকি এবং অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে কঠোরভাবে আইন অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই যথাযথ আইন অনুযায়ী চলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি কলেজগুলোকেও ইউজিসির নজরদারিতে আনার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি কমিশনের ক্ষমতা ও সামর্থ্য বাড়ানোর আশ্বাস দেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এ নির্দেশনা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এসময় নতুন আইন করে ইউজিসির ক্ষমতা ও সক্ষমতা আরো বাড়ানোর কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ইহসানুল করিম বলেন, আইন শক্তভাবেই অনুসরণ করা হচ্ছে জানিয়ে আইনের বাইরে গেলে কাউকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ও গবেষণার মান নিয়ে প্রশ্ন ছাড়াও শিক্ষক ও কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়াসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনিয়মের সাম্প্রতিক ঘটনা তার নজির।
ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনিয়মের জন্য নজরদারিতে রাখা হয়েছে। গত অগাস্টে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ওইসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সতর্ক করে ইউজিসি।
১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের অধ্যাদেশ অনুযায়ী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া, উচ্চ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মানোন্নয়ন, উদ্ভাবনী গবেষণা ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করা ও সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশাসনের উন্নয়ন ঘটানো ইউজিসির দায়িত্ব।
এছাড়াও উচ্চশিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছানোর লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন ও সেবিষয়ে সরকারকে পরামর্শও দেওয়ার কাজটি ইউজিসির করার কথা।
অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, কমিশন একটি গবেষণা নীতিমালা তৈরি করেছে। শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য তিনি পিএটিসির মত একটি একাডেমি চান।
দেশে সরকারি বেসরকারি মিলে এখন ১৫৫টির মত বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে উল্লেখ করে ইউজিসি চেয়ারম্যান ইউজিসির জনবল বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, কাযালয় সচিব সাজ্জাদুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।