‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী’ - দৈনিকশিক্ষা

‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী’

নিজস্ব প্রতিবেদক |

PM-2সিলেকশন গ্রেড বহাল ও বেতন গ্রেডের সমস্যা নিরসনের দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি সম্মানজনক এ পেশার মানুষদের আন্দোলনকে নির্বুদ্ধিতা হিসেবেও দেখছেন। প্রয়োজনে শিক্ষকদের চাকরির বয়স ৬৫ থেকে নামিয়ে ৫৯ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

সোমভার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে একই সঙ্গে আন্দোলন কেন তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নিজেই কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন সচিবদের সমান করা হবে। সেক্ষেত্রে তাদের চাকরির মেয়াদ ৫৯ বছর করতে হবে এবং সচিবদের মতো তাদেরও সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত অফিস করতে হবে। অন্য কোথাও পার্টটাইম চাকরি করা যাবে না।

সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট বৈঠকে শিক্ষকদের বেতন ভাতা ও পদমর্যাদার বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে, প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ড. আনিসুজ্জামানের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এই শিক্ষকের সঙ্গে কি কোনো সচিবের তুলনা চলে? কাজেই শিক্ষকদের বলুন তারা সচিব চান না নিজেদের স্বকীয় মর্যাদা চান? যদি তারা সচিবদের মতো বেতন চান তাহলে সচিবদের মতো তাদের ডিউটি করতে হবে।

মন্ত্রীসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী কয়েকজন সচিবের সঙ্গে বসলেও সেখানে কোনও ইতিবাচক আলোচনা হয়নি বলে জানা গেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ প্রধানমন্ত্রীকে এই মর্মে অবহিত করেছেন যে বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটিতে সিনিয়র মন্ত্রীরা যেসব সুপারিশ করেছিলেন নতুন পেস্কেলের প্রজ্ঞাপনে তার প্রতিফলন ঘটেনি।

এর জন্য অর্থসচিবকে দোষারোপ করেছেন সিনিয়র মন্ত্রীরা।বিশ্বস্ত সূত্রগুলো দৈনিকশিক্ষাডটকমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, সচিবরা কেন সুপারিশ প্রতিফল ঘটনাননি তা জানতে ও করণীয় ঠিক করতে সচিবদের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। কোনও সুফল নেই বলে জানা গেছে।

সচিবদের সঙ্গে সভাশেষে সচিবালয় থেকে বের হয়ে তাঁর কার্যালয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। পথিমধ্যে কিছুক্ষণ ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়েছিলেন তিনি।

গতকাল রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনকে নাথিং বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেছেন, শিক্ষকরা না বুঝেই আন্দোলন করছেন।

অপরদিকে শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। সরকারি কলেজ শিক্ষকরা আন্দোলনে রয়েছেন।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0043458938598633