স্বনামধন্য ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজে আড়াই বছরেরও বেশি সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। অবসরে যাবার আগে আরো দুই বছর চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো সেই আবেদনে ভুল বানান, বাক্য গঠনে অসঙ্গতি, যতি চিহ্নের ব্যবহারে ভুল, একাধিকভাবে তারিখ উপস্থাপন, এমনকি নিজের সম্পর্কেও ভুলভাবে তথ্য উপস্থাপন করাসহ এক ডজনেরও বেশি ভুল চিহ্নিত করা গেছে। দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সাবেক এই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নাম মোছা. সুফিয়া খাতুন। ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ১১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ৩ জুলাই পর্যন্ত ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গতবছর অবসরে যাবার আগের সপ্তাহে চাকরির মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়ানোর আবেদন করেন তিনি।
আবেদনের বিষয়ে ভুল বানানে লিখেছেন ‘চাকুরীর’ এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে ‘জন্য’ শব্দটি প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া ‘সুস্থ্য’, ‘উন্নয়ণমূলক’, ‘দুরিকরণ’ লেখা হয়েছে ভুল বানানে। আর ‘দায়িত্ব প্রাপ্ত’ ‘দায়িত্ব পদ’, ‘তথ্য প্রযুক্তি’, ‘ঐতিহ্য বাহী, এগুলো দুই শব্দে লেখা হয়েছে যা একশব্দে হবে। চার বার তারিখ লিখতে তিনভাবে লিখেছেন ‘০৫/০৯/১৯৮১ইং সন’, ‘ ১১/১২/১৪ সাল’ ও ‘০৩/০৭/২০১৭ইং’।
আবেদনের মাঝের অংশের শেষের দীর্ঘ বাক্যে যতি চিহ্নের সঠিক প্রয়োগ নেই। এখানে ‘উন্নত’ শব্দটিও যথাযথ প্রয়োগ নয়। তবে সবচেয়ে বড় অসংগতি নিজের ৬০ বছর বয়সকে চাকরির ৬০ বছর হিসেবে উল্লেখ করা। তিনি লিখেছেন, ‘আমার চাকুরীর বয়স আগামী ০৩/০৭/২০১৭ ইং তারিখে ৬০ বছর পূর্ণ হবে বিধায় আমার চাকুরীকাল উক্ত তারিখে সমাপ্ত হবে।’
আবেদনে নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং কাজে উদ্যমী দাবি করে চাকরির মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়। যদিও ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে তার চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করেনি সরকার।