মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ২৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের সংকট রয়েছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ঐ সকল বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ঝরেপড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত ২৭ ও ২৯ জুলাই সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, উপজেলার মাছুয়াখাল, নারায়ণপুর, আশ্বিনপুর, দক্ষিণ নাগদা, পশ্চিম নাগদা, ভানুরপাড়, ডাটিকারা, ঘিলাতলী, নবকলস, শোভনকর্দী, বকচর, বারগাঁও, দগরপুর, লাকশিবপুর, মুন্সীরহাট, খিদিরপুর, মধ্য ডিংগাভাঙা, পয়ালী, উত্তর দৈলতপুর, ঢাকিরগাঁও, মধ্য পিংড়া, দিঘলদী, বহরী, নওগাঁও বালিকাসহ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করছে। আবার অনেক শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়েও ক্লাস করছে। এছাড়া দেখা গেছে, মাছুয়াখাল, নারায়ণপুর ও ডাটিকারা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের অভাবে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে।
এদিকে মতলব দক্ষিণ উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১১। এর মধ্যে ৯৭টিতেই খেলার মাঠ নেই। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। এসব শিক্ষার্থী খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিশুদের হইচই, ছোটাছুটি করার জায়গাটুকুও নেই সেখানে।
নাগদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজল কুমার দে বলেন, আমার বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি চালু আছে, প্রায় ৫ শতাধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ ও বেঞ্চ না থাকায় ক্লাস নিতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া খেলার মাঠ নেই বিদ্যালয়ে।
ডাটিকারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপনা রাণী গোপ জানান, তার বিদ্যালয়ে ১শ ১৩ শিক্ষার্থীর জন্য কোনো খেলার মাঠ নেই।
নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির উপজেলার শ্রেষ্ঠ সভাপতি মো. জাহিদ খান বাবু বলেন, বিদ্যালয়ের ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীরাই গরিব, সরকার বিনামূল্যে বই বিতরণ করছে, আর আমি কাগজ, কলম ও স্কুল পোশাক দিচ্ছি। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ নেই তাই শিক্ষার্থীরা খেলতে পারছে না।
উপজেলার শ্রেষ্ঠ সমাজসেবক শেখ ফজলুর করিম সেলিম বলেন, এ বছর বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গাছ লাগানোর জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছি। খুদে শিক্ষার্থীদের দৈহিক গঠন ও মেধা বিকাশে খেলাধুলা গুরত্বপূর্ণ। কিন্তু খেলার মাঠ নেই বিদ্যালয়ে।