রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি লটারি প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য জালিয়াতি ও দুর্নীতি প্রতিরোধে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম। দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে সোমবার (১০ ডিসেম্বর) স্কুলটিতে অভিযান চালায় দুদক টিম। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান ও মোছা. সেলিনা আখতার মনি এবং উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলামসহ দুদকের পুলিশ ইউনিটের সদস্যরা এ অভিযানে অংশ নেয়।
জানা গেছে, আইডিয়াল স্কুলে ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে সর্বমোট ৮৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। মতিঝিল ও বনশ্রী শাখায় বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভার্সনে এবং মুগদা শাখায় শুধু বাংলা ভার্সনে বালক ও বালিকা পৃথক ক্যাটাগরিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হবে। এর মধ্যে সোমবার ৬টি ক্যাটাগরির লটারি অনুষ্ঠিত হয় এবং মঙ্গলবার অবশিষ্ট ৪টি লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
দুদক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে জানায়, লটারির এ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে দুদক টিম সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আইডিয়াল স্কুলে অবস্থান করে। এ সময় অনুষ্ঠিত লটারির ফলাফল পেন্সিলের পরিবর্তে বলপেন/অমোচনীয় কালি দিয়ে লেখা নিশ্চিত করে। অন্যদিকে, বালক ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত তালিকার পাশাপাশি কোন অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম বন্ধে রাজধানীর মতিঝিল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেয় দুদক টিম। এছাড়া দুদক টিম উক্ত স্কুলের পার্শ্ববর্তী এলাকায় গড়ে ওঠা অসংখ্য ভর্তি কোচিং সেন্টারের প্রতিনিধিদের সমাগম নিয়ন্ত্রণ করে। দুদক টিমের উপস্থিতিতে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ভর্তি পরীক্ষাকে দুর্নীতির অভিশাপ থেকে মুক্ত রাখতে দুদক কঠোরভাবে নজরদারি করছে। কোনভাবেই দুর্নীতির সুযোগ দেওয়া হবে না।