শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দেশের উন্নয়নে মনোবিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। তাই মনোবিজ্ঞানের প্রায়োগিক ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে তাদের এগিয়ে আসতে হবে। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় জনবল তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে।
শুক্রবার (১৮ই আগস্ট) ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ মিলনায়তনে ’উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মনোবিজ্ঞান শিক্ষা কার্যক্রমের সমস্যা ও সমাধানের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতি এ সেমিনারের আয়োজন করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একজন মানুষের সার্বিক বিকাশ ও সমাজের অগ্রগতিতে মনোবিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। ে
মনোবিজ্ঞান শাখায় সরকারের অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, দক্ষ ও যোগ্য জনবলের আমাদের অভাব রয়েছে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে। তাই সুনির্দিষ্ট ও বাস্তবসম্মত প্রস্তাব পেলে সরকার এ বিষয়ে কাজ করবে।
সমাজে মনোবিজ্ঞানীদের ভূমিকা সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশ ও তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে মনোবিজ্ঞানীরা ভূমিকা রাখতে পারেন। স্কুল পর্যায়ে অটিস্টিক শিশুদের চিহ্নিত করতে ও তাদের মানসিক বিকাশে মনোবিজ্ঞানীদের সাহায্য প্রয়োজন।
তিনি জনগনের প্রতি দায়বদ্ধ পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মনোবিজ্ঞান সমিতির সহ-সভাপতি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমদ খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র সাহা এবং মনোবিজ্ঞান সমিতির সাবেক সভাপতি ড. মো. রওশন আলী ও ড. আব্দুল খালেক বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শামসুদ্দীন ইলিয়াস। সেমিনারে বক্তারা উচ্চ মাধ্যমিকের মানবিক শাখায় মনোবিজ্ঞানকে আবশ্যিক ও ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে এবং বিজ্ঞান ও বানিজ্য শাখায় ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার আহবান জানান।