মেহেরপুরের গাংনীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরিদের কাছ থেকে ঋণের টাকা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুর্যোগ মুহূর্তে ঋণ আদায় করায় ব্যাংকগুলোর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভুক্তভোগীরা।
দপ্তরি কাম প্রহরী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সোহেল রানা জানান, বৃহস্পতিবার গাংনী সোনালী ব্যাংক বাজার শাখায় বেতন ভাতা উত্তোলন করতে গেলে কিস্তির টাকা কেটে নেয়। তিনি আরও বলেন, যেসব দপ্তরি কাম প্রহরীদের ১ লাখ টাকা ঋণ তাদের ২ হাজার ৮শ ২০ টাকা আর ২ লাখ টাকা যাদের ঋণ আছে তাদের ৪ হাজার ৫শ৬০ টাকা কর্তন করা হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে দপ্তরি কাম প্রহরীদের মধ্যে।
ঢাকা বিভাগের সভাপতি ও টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার দপ্তরি কাম প্রহরী সাদিয়াত হোসেন বলেন, তাদের জেলার দপ্তরি কাম প্রহরীদের ঋণের কিস্তির টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দপ্তরি কাম প্রহরী জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে পরিবারের সদস্যদের কাজকর্ম ঘরের বাইরে যাওয়া বন্ধ রেখেছে। বেতনের ১৫ হাজার টাকাই শেষ ভরসা। ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ৫ সদস্যর সংসার চালানো কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে আবার ঋণের কিস্তির টাকা আদায় করা হচ্ছে। মানবিক কারণে ঋনের কিস্তি আদায় বন্ধ করতে অনুরোধ জানান তারা।
গাংনী সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. হাসেম উদ্দীন বলেন, ঋণ আদায় বন্ধের কোনো নির্দেশনা আসেনি। একারণে ঋণ আদায় চলমান আছে। ঋণ আদায় বন্ধের কোনো নির্দেশনা আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গণি বলেন, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।