মুনাফালোভী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চান না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
আজ রোববার সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
তবে, দৈনিকশিক্ষার অনুসন্ধানে জানা যায় ২০০৬ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে বিএনপি-জামাত সরকার ৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করলেও নাহিদের জমানায় সেগুলোর মধ্যে ৫টিই আবার সনদ বাণিজ্য শুরু করেছে। গত বছর টিআইবি যখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা ও মন্ত্রণালয়ের ঘুষ বাণি্জ্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলো তখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ঘুষখোরদের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী আজ রোববার তার বক্তৃতায় বলেন, “কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তবে তারা উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে তা পরিচালনা করছে। চূড়ান্ত রায়ের ফয়সালা হলেই সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা মানহীন ও মুনাফা লুটকারী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চাই না।”
নতুন করে আরও ছয়টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছেে এই সরকার। এ নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াল ৯১ টি। বিদ্যমান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ থাকলেও নতুন ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হলো।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে ধনী লোকেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। ইনভেস্ট করা মানেই মুনাফা বেরিয়ে আসবে এ চিন্তা থেকে অনেকে এ ধরনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছেন।
সেই চিন্তা থেকে সবাইকে সরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে, তা নয়। দু-একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে সনদ বিক্রি করার মতো অবস্থা ছিল। আমরা ২০১০ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন করে এখন অধিকাংশকে নিজস্ব জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছি।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আমিনুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক মো. রাশেদ তালুকদার, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রেজা-ই-করিম খন্দকার, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামাল আহমদ চৌধুরী, প্রথম বর্ষ ভর্তি কমিটির সভাপতি নারায়ণ সাহা ও সদস্যসচিব মুশতাক আহমদ, প্রক্টর কামরুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।