মোট শিক্ষার্থীর ৪৫ শতাংশ ছাত্রী : ব্যানবেইস - দৈনিকশিক্ষা

মোট শিক্ষার্থীর ৪৫ শতাংশ ছাত্রী : ব্যানবেইস

নিজস্ব প্রতিবেদক |

দেশে নারী শিক্ষকের সংখ্যা ২৫ শতাংশ। আর মাধ্যমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থীর ৪৫ শতাংশ ছাত্রী। ইংরেজি মাধ্যমে ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। ছাত্রী ভর্তি ঊর্ধ্বমুখী হলেও শিক্ষকের তুলনায় শিক্ষিকার হার তুলনামূলক কম। গতকাল মঙ্গলবার 'বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো' (ব্যানবেইস) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। 

'এডুকেশন সার্ভে-২০১৮ চূড়ান্তকরণ' নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। 

এতে দেখা গেছে, ষষ্ঠ থেকে মাস্টার্স শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৮টি ধারায় শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে। এর মধ্যে ইংরেজি মাধ্যমে ছাত্রীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় স্থানে আছে মাদ্রাসা। তবে ছাত্রী ভর্তি ঊর্ধ্বমুখী হলেও বাড়ছে না শিক্ষিকার হার। প্রাথমিক-পরবর্তী শিক্ষা স্তরে নারী শিক্ষকের হার খুবই কম। মাত্র ২৫ শতাংশ নারী শিক্ষিকা এই স্তরের ৪১ হাজার ৩১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।

এই জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, শিক্ষায় বাংলাদেশে নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে। বিশেষ করে নারী শিক্ষায় বাংলাদেশের অর্জন ঈর্ষণীয়। এরই মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রী ভর্তির হারে শুধু সমতা অর্জনই নয়, ছাত্রের তুলনায় বেশি লেখাপড়া করছে। শিগগির উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেও নারী শিক্ষায় সমতা অর্জন করবে।

ব্যানবেইস মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. অরুণা বিশ্বাস। আরও বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন ভূঞা, রওনক মাহমুদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. মাহাবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ব্যানবেইস 

এবারও সারাদেশের মাধ্যমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তরের প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে। তবে প্রতিবেদনে প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকেই তথ্য স্থান পাবে। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রাথমিক স্তরের তথ্য নিয়ে থাকে ব্যানবেইস। 

মাধ্যমিক-পরবর্তী শিক্ষায় দেশে বর্তমানে ৮টি ধারা আছে। এগুলো হচ্ছে- স্কুল ও কলেজ বা সাধারণ শিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা, কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষা, পেশাগত শিক্ষা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইংরেজি মাধ্যম। ব্যানবেইসের তথ্যমতে, সর্বশেষ হিসাবে এই ৮ ধারায় প্রায় ২৫ শতাংশ নারী শিক্ষক রয়েছেন। ছাত্রী ৪৫ শতাংশ। 

মাউশি মহাপরিচালক মাহাবুবুর রহমান বলেন, প্রাথমিক-পরবর্তী স্তরে ছাত্রীর অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু সেই তুলনায় শিক্ষিকার হার বাড়ছে না। অবশ্য সরকার নারী অগ্রগতির জন্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে অচিরেই শিক্ষকতা পেশায় নারীর সংখ্যা বাড়বে।

ব্যানবেইস মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ জানান, আগামী মাসে সারাদেশে শিক্ষা সমীক্ষা শুরু হবে। তাতে যেসব প্রশ্নমালা রাখা হবে, সেগুলো অংশীজনকে অবহিত করার লক্ষ্যেই এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি এতে অংশগ্রহণকারীদের মতামত নেওয়া হয়েছে।

সমীক্ষায় ১০টি বিষয়ে তিন শতাধিক প্রশ্নের ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। বিষয়গুলো হচ্ছে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ তথ্য, শিক্ষক ও কর্মচারী, ভৌত সুযোগ-সুবিধা, শিক্ষার্থী, আইসিটি শিক্ষা ও লাইব্রেরি, যন্ত্রপাতি বা সরঞ্জাম, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা। এবারের সমীক্ষার মূল বৈশিষ্ট্য ও লক্ষ্য হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ (এসডিজি-৪) বাস্তবায়ন।

ব্যানবেইসের তথ্য অনুযায়ী, স্কুল পর্যায়ে শিক্ষিকার হার ২৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ ছাড়া কলেজে ২৩ দশমিক ৫৬, মাদ্রাসায় ১৩ দশমিক ১১, কারিগরি ও ভোকেশনালে ২০ দশমিক ৪৩, পেশাগত শিক্ষায় ২৪ দশমিক ২৬, শিক্ষক প্রশিক্ষণে ২৪ দশমিক ৮১, বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬ দশমিক ০২ এবং ইংরেজি মাধ্যমে প্রায় ৪২ শতাংশ শিক্ষক নারী রয়েছেন।

 

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের - dainik shiksha অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের - dainik shiksha হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা - dainik shiksha মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো - dainik shiksha ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0041530132293701