নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদানে বাধা দেয়ার অভিযোগে আরও ৩৯টি প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও বাতিলসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এনটিআরসিএর সুপারিশ পাওয়া ৪৬ জনকে ৩৯টি প্রতিষ্ঠানে যোগদানে বাধা দেয়া হয়েছে। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এমপিও বাতিল এবং পরিচালনা পর্ষদ/ম্যানেজিং কমিটি ভেঙ্গে দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইনকে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদানে বাধা দেয়ার বিষয়ে আসা অভিযোগগুলো যাচাই বাছাই করা হয়েছে। যৌক্তিক অভিযোগগুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সাথে অভিযোগগুলোও পাঠানো হয়েছে। তালিকায় থাকা অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির বিরুদ্ধে এমপিও নীতিমালা অনুসারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
গত বছরের ১২ জুন জারি করা বেসরকারি স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর ১৮.১ এর (ঘ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এনটিআরসিএতে শিক্ষক চাহিদা দিলে উক্ত পদে মনোনীত প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। প্যাটার্নের অতিরিক্ত চাহিদা দিলে সেই শিক্ষক কর্মচারীদের শতভাগ বেতন-ভাতা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাহ করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বেতন ভাতা স্থগিত বা বাতিল করা হবে এবং পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদানে বাধা দেয়ার অভিযোগে ১২৫ প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এমপিও বাতিলসহ কমিটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করে এনটিআরসিএ।
তালিকা দেখুন-