ঝালকাঠি সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপবৃত্তির টাকা তুলতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। টাকা তুলতে ডাচবাংলার মোবাইল ব্যাংকিং রকেট এজেন্টদের বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এছাড়াও নির্ধারিত মোবাইলে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা প্রাপ্তির এসএমএস না আসায় অনেক সময় অভিভাবকরা টাকা আসার বিষয়টি বুঝতে পারছেন না। আবার অনেক সময় অন্যের মোবাইল নম্বর দেয়ায় শিক্ষার্থীরা টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা শিওরক্যাশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন।
গ্রাম পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের টাকা তুলতে শহরে আসতে হয় এতেও ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে যায়। এসব সমস্যার কারণে অভিভাবকরা আগের মতোই স্কুল থেকেই শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকার প্রদান করা অথবা অন্য কোনো সহজ পদ্ধতিতে উপবৃত্তির টাকা বিতরণের দাবি জানিয়েছেন।
পিপলিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র জেএম তাজুল ইসলাম নাবিলের বাবা কায়েস জোমাদ্দার বলেন, উপবৃত্তির টাকা দোকান থেকে তুলতে গেলে দোকানদার [রকেট এজেন্ট] বাড়তি টাকা চায়। না দিলে টাকা তুলতে সমস্যা করে। তাই অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে তাদেরকে টাকা দিচ্ছেন।’
ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়নের পিপলিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মা মুক্তা বেগম দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘বর্তমানে এসএমএস এর মাধ্যমে টাকা আসায় সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় এসএমএস মুছে যায়। যার ফলে টাকা এসেছে কিনা তা বোঝা যায় না।’ শিওরক্যাশের মাধ্যমে টাকা আসে মোবাইলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুলের শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দেয়া হলে আর কোন ভোগান্তি থাকে না। সহজে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের টাকা পেয়ে যায়।
ঝালকাঠি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সিদ্দিকুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ডাচ বাংলা অথবা রকেটের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা প্রাপ্তিতে অনিয়মের বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।