শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র্যাগিং বন্ধে ‘বিশেষ সেল’ গঠনের কথা বলেছেন। আর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বন্ধে নির্দেশনা পাঠিয়েছে। গতকাল রবিবার শিক্ষামন্ত্রী এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন। আর একইদিন বিকেলে ইউজিসি চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এক বৈঠক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমন নির্দেশনা পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে র্যাগিং ও যৌন নির্যাতনসহ সব নিপীড়ন বন্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা রোধে বিশেষ সেল গঠন করা যেতে পারে। নির্যাতনে নিহত বুয়েটর ছাত্র আবরার ফাহাদের মৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিং নিয়ে সমালোচনার মধ্যে এই সেল গঠনে মত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নজরদারি বাড়ানো হবে যাতে কোনো শিক্ষার্থী অন্যের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিকভাবে নিগৃহীত না হয়। শিক্ষামন্ত্রী গতকাল রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি’ নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সকল সদস্যদের নিয়ে চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে আয়োজিত বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে র্যাগিং ও নির্যাতন বন্ধে বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়। ৩ ঘন্টা সময় ধরে চলা এই বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তগুলো নির্দেশনাকারে আজ সোমবার প্রত্যেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।
জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম বলেছেন, র্যাগিং বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ডিজিটাল ক্যাম্পাসে রূপান্তরিত করতে হবে। হোস্টেলসহ সব জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। উপাচার্য এবং প্রভোস্টরা কিছু সময় পরপর এই সিসিটিভি ক্যামেরা নজরদারি করবেন। এতে আপত্তিকর কিছু পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এর ব্যতয় ঘটলে ইউজিসির কাছে জবাবদিহি করতে হবে উপাচার্যকে। একইসঙ্গে র্যাগিং রোধে একটি সেল গঠন করতে হবে। সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের মত চলতে দিতে হবে।