শিক্ষককে কান ধরে ওঠবস করাল ছাত্ররা, ভিডিও ভাইরাল - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষককে কান ধরে ওঠবস করাল ছাত্ররা, ভিডিও ভাইরাল

বরিশাল প্রতিনিধি |

একজন শিক্ষককে কান ধরে ওঠবস করানোর ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। রোববার ফেসবুকে এই ভিডিও ভাইরাল হয়। তবে জানা গেছে বরিশালের এ ঘটনাটি এক মাস আগের।

ভিডিওতে ভাইরাল হওয়া শিক্ষক মিজানুর রহমান সজল বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের আয়লা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত নগরীর রুপাতলীস্থ জমজম ইন্সটিটিউটে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি পটুয়াখালীসহ কয়েকটি জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ করোনাকালে তিনি পুনরায় জমজম ইন্সটিটিউটে অনলাইনে মেডিকেল ডিপ্লোমার কয়েকটি ক্লাস নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুল হক। তবে তাকে পরবর্তী ক্লাস নেয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ছাত্রীকে বেশি নম্বর পাইয়ে দেয়ার প্রলোভনে অনৈতিক প্রস্তাব দেব না শপথ করে সাবেক ওই শিক্ষককে কান ধরে ওঠবস করানো হচ্ছে। ভিডিওতে কয়েকজনের কণ্ঠস্বর শোনা গেলেও কাউকে দেখা যায়নি। তবে বোরকা পরিহিত এক ছাত্রীকে দেখা গেলেও তার মুখমণ্ডল দেখা যায়নি।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক মিজানুর রহমান সজল বলেন, জমজম ইন্সটিটিউটের রূপাতলী শাখায় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলাম। মেডিকেল টেকনোলজি কোর্সসহ স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে সম্পর্কিত নানা কোর্স ইন্সটিটিউটে পড়ানো হয়। আমি ম্যাটস বিভাগের শিক্ষক ছিলাম। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরি ছেড়ে দেই। তবে করোনাকালে মার্চ মাসে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে অনলাইনে ৮-১০টি ক্লাস নিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করার সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এর মধ্যে মো. ইমন ও তার স্ত্রী মনিরা ছিল। তারা ক্লাস ফাঁকি ও লেখাপড়ায় অমনোযোগী ছিল। তাদের লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে বলা হয়। কিন্তু তারা কর্ণপাত না করে উল্টো পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাইয়ে দিতে নানা সময় তাদের বহিরাগত বন্ধুদের দিয়ে চাপ দিয়ে আসছিল। পাশাপাশি ইমন আমাকে কখনও সালাম দিত না। এ নিয়ে ইন্সটিটিউটের কয়েকজন ছাত্র ইমনকে ভর্ৎসনা করেছিল। তবে সালাম না দেয়া নিয়ে আমার মাথাব্যথা ছিল না। তারপরও ইমন আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল।

সজল বলেন, এসব কারণে ২৬ আগস্ট হাতেম আলী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় ইমন ও তার ৬-৭ জন বন্ধু আমার পথরোধ করে। এরপর তারা আমার মুঠোফোন ও মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে যায়। সেখান থেকে আমাকে তারা জোর করে অক্সফোর্ড মিশন রোড এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর আমাকে সেখান থেকে গোরস্থান রোডে নিয়ে মারধর করে তারা। এই সময় ইমনের সঙ্গে ৬-৭ জন যুবক ছিল। একজনের হাতে লাঠি ছিল। তাদের কিল-ঘুষিতে আমার নাক ফেটে যায়। মারধরের একপর্যায়ে ইমন আমাকে কান ধরে ওঠবস করায়। এরপর ইমন আমাকে কিছু কথা বলতে বাধ্য করে। সেগুলো একজন মোবাইল ফোনে ধারণ করে।

জমজম ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুল হক বলেন, আমাদের সাবেক এই শিক্ষককে নগরীর কোনো একটি জায়গায় তুলে নিয়ে কয়েকজন ছাত্র তাকে নির্যাতন করে এবং কান ধরে ওঠবস করা হয়। ঘটনাটি এক মাস পূর্বে ঘটলেও ৪-৫ দিন আগে ভিডিওটি আমি দেখেছি। এরপর শিক্ষক সজলের সঙ্গে কথা বললে জানান তিনি নির্দোষ। তবে আমার যেটা ধারণা, শুধু শুধু তো এমন ঘটনা ঘটতে পারে না। শিক্ষক ও ছাত্রদের দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ধরেই এই ঘটনা ঘটেছে।

এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0059030055999756