শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধে কমিটির প্রস্তাব - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধে কমিটির প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক |

‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা ২০১২’-এর সুষ্ঠু বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। গভর্নিং বডি বা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে আহ্বায়ক এবং অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষককে সদস্যসচিব করে এ কমিটি গঠন করতে হবে।

রোববার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা বাস্তবায়নসংক্রান্ত এক সভায় এসব প্রস্তাব আসে। তবে ২০১২ সালের নীতিমালা সংশোধন হওয়ার পর এ প্রস্তাব কার্যকর হবে বলে জানা যায়। 

তবে, ফ্রিল্যান্স কোচিং নিয়ে সভায় কোনও আলোচনা হয়নি বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানান একাধিক কর্মকর্তা। 

২০১২ সালের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালায় একজন শিক্ষককে তাঁর প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য প্রতিষ্ঠানের ১০ জন শিক্ষার্থী পড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে শুধু অভিভাবকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানপ্রধান অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারবেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের নীতিমালায় একজন শিক্ষকের ১০ জন শিক্ষার্থী পড়ানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেটা এক দিনে ১০ জন নাকি মাসে ১০ জন তা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। কারণ বর্তমানে একজন শিক্ষক সপ্তাহে একজন শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ তিন দিন পড়ান। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন পড়ালে অনেক শিক্ষার্থী পড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তাই নীতিমালার সংশোধনে বিষয়টি পরিষ্কার করার প্রস্তাব এসেছে।

এ ছাড়া কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালায় স্কুলে কোচিং করানোর সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই শিক্ষার্থীদের ক্লাসের বাইরেও স্কুলে কোচিং করাতে বাধ্য করে। এমনকি কোচিং না করলেও ফি দিতে হয়। কোনো প্রতিষ্ঠান যাতে কাউকে কোচিং করতে বাধ্য করাতে না পারে, সে জন্য কোচিং বন্ধে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যক্রমকে জোরদার করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। 

সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক জানান, এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য হয় না। তবে শিক্ষামন্ত্রী এই কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.010764122009277