শিক্ষকের জবাবদিহি হবে সমাজের কাছে: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষকের জবাবদিহি হবে সমাজের কাছে: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

শিক্ষাব্যবস্থার প্রধান উপাদান হল শিক্ষক, যদিও ছাত্রদের পড়ানোর জন্যই শিক্ষকের দরকার হয়। এ জন্য শিক্ষক হতে হলে তাকে আগে ছাত্র হতে হবে। নিজেকে প্রচুর পড়ালেখায় নিয়োজিত রাখতে হবে। ক্রমাগত সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য শিক্ষককে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। এমনকি শিক্ষককে ছাত্রদের কাছ থেকেও শিখতে হবে। শিক্ষকের গুণাবলি অর্জন করতে হবে। শনিবার (৫ অক্টোবর) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। 

আরও দেখুন: বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন শুরু হলো যেভাবে (ভিডিও)

সর্বোপরি উপযুক্ত ব্যক্তিকে শিক্ষক হতে হবে। শিক্ষকের আরও যেসব গুণ দরকার সেগুলো অর্জনে তাকে আগ্রহী হতে হবে। তার মধ্যে অঙ্গীকার থাকতে হবে। এমন যেন না হয়- অন্য পেশা না পেয়ে শিক্ষক হতে এসেছে বা হয়েছে। একজন শিক্ষককে শিক্ষক হতে আসতে হবে। এ জন্য মেধাবীদের শিক্ষকতায় আনার জন্য পেশাটিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। বেতন-ভাতা ইত্যাদি স্বতন্ত্র স্কেলে আকর্ষণীয় করতে হবে। কারণ শিক্ষকতা প্রচুর উৎপাদনশীলতার একটি জায়গা।

এ ছাড়া শিক্ষকের সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। তার অবদান স্বীকার করে নিতে হবে। এ জন্য শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় যোগ্য ও উপযুক্ত ব্যক্তিকে বাছাই করে নিতে হবে। আমাদের সমাজে তদবির করে এবং টাকা-পয়সা দিয়ে শিক্ষক নিয়োগের প্রচলন রয়েছে। এভাবে আসা অযোগ্যরা পড়াতে পারে না। কাজেই তারা টাকা-পয়সার লোভে পড়ে শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণ করে। পড়ানোর চেয়ে তারা কোচিং ও অন্যান্য উপরি আয়ে বেশি আগ্রহ দেখায়। 

এগুলো দূর করে শিক্ষাকে ক্লাসে আনতে হবে। ভালো, উপযুক্ত ও মানসম্মতদের আকর্ষণ করতে শিক্ষা খাতে ব্যয় বাড়াতে হবে। বাজেটের ২৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করতে হবে। জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে। এই জবাবদিহিতা সরকারের কাছে না হয়ে সমাজের কাছে হবে।

বলা হয়, জিডিপির ২ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করা দরকার। এটি ২ শতাংশ না হয়ে ৫ শতাংশ হওয়া বাঞ্ছনীয়। দেশে যত শিক্ষক দরকার, আমরা তত পাচ্ছি না। আবার যারা আসছে তারাও মানসম্মত না। আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রের প্রধান দুর্বলতা তিন ধারার শিক্ষা। বর্তমানে দেশে বিভাজন যতটা বৃদ্ধি পেয়েছে, তা শিক্ষাব্যবস্থার বিভাজনের কারণে শ্রেণিবিভাজন থেকে। এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। যা হওয়ার কথা ছিল তার উল্টোটা হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষায় বৈচিত্র্য থাকবে; কিন্তু ধারা হবে একটি। শিক্ষার মধ্য দিয়ে বিভাজনমুক্ত ও ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়ে তুলতে হবে।

লেখক: প্রাবন্ধিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক

 

দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার চাকরির বয়স নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা - dainik shiksha চাকরির বয়স নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? - dainik shiksha স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার - dainik shiksha কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন ৭ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন ৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035839080810547