হাতীবান্ধা উপজেলার মিলনবাজার মোজাম্মেল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান। তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন মজুমদার পশ্চিম সারডুবি গ্রামের পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
শিক্ষকতার পাশাপাশি এই শিক্ষক দম্পতি প্রতিদিনেই শ্রম দেন নিজেদের কমলা বাগানে। শিক্ষকতার পাশাপাশি এখন তাদের খ্যাতি জেলার সফল কমলা চাষী দম্পতি হিসেবে। নিজস্ব নার্সারিতে কমলার চারা হয় তাদের।
একটি মাত্র কমলা গাছ থেকে ২০১১ সালে বীজ সংগ্রহ করে চারা তৈরি করে তা থেকেই করেছেন দৃষ্টিনন্দন কমলা বাগান। কমলার গাছের ফল আসা এবং পাকা পর্যন্ত প্রতি দিনই শত শত মানুষ ভীর করছে খলিল-ফাতেমা দম্পতির কমলার বাগানে।এ বছর নতুন করে ৫০ টি গাছে কমলা ধরায় বাগানের সৌন্দয্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে দেড় শতাংশ জমিতে প্রায় ৩৫০ টি ছোট বড় কমলা গাছ রয়েছে। এ বছর মা গাছটিতে প্রায় সাত থেকে আটশত কমলা ধরেছে।
কমলার চাষ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য মা গাছটি থেকে বীজ সংগ্রহ করে চারা গাছের একটি সমৃদ্ধ নার্সারিও গড়ে তুলেছেন তারা।
লালমনিরহাটের মানুষের কাছে কম দামে বিক্রি করছেন সেই চারা গাছ। তাদের বাগান দেখে অনেকেই এই জেলায় কমলার বাগান করতে আগ্রহী হয়ে ওঠছেন।বাড়ছে কমলা চাষীর সংখ্যা।
ফাতেমা খাতুন এই প্রতিনিধিকে বলেন, প্রতি দিনে দুরদুরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ কমলা বাগান দেখতে আসে। অনেকে পরিবারের জন্য নগদ টাকা দিয়ে কমলা কিনেও নিচ্ছেন।
খলিলুর রহমান জানান, কমলা ও গাছের চারা বিক্রয় করে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এ পর্যন্ত চারা বিক্রয় হয়ে প্রায় এক লক্ষ টাকা আয় করেছেন তিনি। আগামী বছর দুই থেকে তিন লক্ষ টাকার চারা বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। খলিলুর জানান, অন্যান্য ফলের তুলনায় কমলা চাষ অধিক লাভবান হওয়া যায়।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন জানান, ওই অঞ্চলের মাটি খুবই উরর্বর। যা কমলা চাষের জন্য উপযোগী। তিনি আরও জানান তিনি শিক্ষক দম্পতির কমলা বাগান পরির্শন করেছেন।কমলাগুলো রসালো ও সুস্বাদ।
হাতীবান্ধা কৃষি অফিস সুত্রে জানান, একজন সফল উদ্ভাবক হিসেবে খলিলুর রহমান কে ২০১৪ সালের কৃষি মেলায় পুরস্কৃত হয়েছেন।
প্রশংসা পেয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন স্তরের মানুষের। তিনি এখন স্বপ্ন দেখছেন সরকারের সাহায্য সহযোগিতা পেলে সমস্ত জেলাকে কমলা চাষের অঞ্চলে পরিণত করা।