সরকার শিক্ষানীতি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ পঞ্চম জাতীয় যুব পরিবার পরিকল্পনা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রায় ১০ বছর আগে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তাই এখন শিক্ষানীতিকে সংশোধন, পরিমার্জন, সংযোজন ও যুগোপযোগী করা প্রয়োজন। ফলে সরকার শিক্ষানীতি সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইতিমধ্যে দেশের বিপুল জনসংখ্যাকে শিক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। এখন প্রয়োজন শিক্ষার গুণগত মান অর্জন। শিক্ষার সকল পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। একটি সমন্বিত শিক্ষা আইন প্রণয়ন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’
এ সময় মহামারি-পরবর্তী বিশ্ব অর্থনীতি উন্নয়নে এবং বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের পাশাপাশি জনগণ ও তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সবাইকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সিরাক-বাংলাদেশের আয়োজনে পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে করোনার কারণে আয়োজনে ভিন্নতা আনা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলকভাবে সম্মেলনে শুধু বক্তারা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন। আর ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পুরো দেশ থেকে পাঁচ শতাধিক তরুণ-তরুণী সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে। যেখানে তারা আটটি প্ল্যানারি সেশন, চারটি প্যারালাল সেশন ছাড়াও নেটওয়ার্কিং ও দক্ষতা উন্নয়ন ট্রেনিং সেশনসহ বিভিন্ন আয়োজনে অংশ নেবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আলী নূর বলেন, ‘কিশোরী মায়ের স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টিগত চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি তাদের মৃত্যুহার কমিয়ে আনার ওপর নজর দেওয়া হচ্ছে।’
সিরাক-বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকতের সঞ্চালনায় সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, ইউএনএফপিএর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. অসা টোরকেলসন, জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সিনিয়র প্রগ্রাম অফিসার মারভিন ক্রিস্টিয়ান এবং যুব প্রতিনিধি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী ফাহমিদা হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সিরাক-বাংলাদেশের এই আয়োজনের সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ ইয়ুথ হেলথ অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (বিহান), ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ, রাইট হেয়ার রাইট নাও বাংলাদেশ, মেরী স্টোপস বাংলাদেশ, কোয়ালিশন অব ইয়ুথ অর্গানাইজেশনস ইন বাংলাদেশ (সিঅয়াইওবি), পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল, অপশনস কনসালট্যান্সি সার্ভিসেস লিমিটেড, ইউকেএইড, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার ও ইউবিআর অ্যালায়েন্স।