আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডসহ সারাদেশের মোট এগারোটি বোর্ডের অধীনে আজ শনিবার শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। শুরুতেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা বোর্ডের কর্মকর্তা, কেন্দ্রসচিবসহ পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনের টকশোতে দেখেছি কয়েকটি শিক্ষাবোর্ডে আওয়ামী লীগ বিরোধী, জামাতপন্থী, বিতর্কিত, দুনীতিবাজ ও জিয়া পরিষদের সদস্যরা রয়েছেন। তারা সবাই বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভু্ক্ত সরকারি কলেজ শিক্ষক। কেউ কেউ সরাসরি প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষা দিয়ে বিসিএস শিক্ষক হয়েছেন আবার কেউ জাতীয়কৃত কলেজ থেকে আত্তীকৃত হয়েছেন। কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কিন্তু কারণ জানা যায়নি। কেউ যোগ্যতা ছাড়াই অধ্যাপক হয়েছেন কিন্তু তদন্ত হয়নি।
যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন একজন আওয়ামী লীগ বিরোধী অধ্যাপক। একইভাবে মাদরাসা বোর্ডের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন রং বদলানো কয়েকজন কর্মকর্ত। কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ শাখায় কে কীভাবে পদায়ন পেয়েছেন তা খুঁজে দেখা দরকার। ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সচিব কেন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তা জানতে চায় জাতি? কারা তাঁকে গুলিবিদ্ধ করেছেন তাদেরকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর খুব কাছের ও পছন্দের কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সাবেক মন্ত্রীর সাবেক বিতর্কিত একজন এপিএসর অনুসারীরা এখনও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষাবোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।
প্রশ্নফাঁস ছাড়া পাবলিক পরীক্ষা চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর অতি পছন্দের দুইজন রাজনীতিককে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি আশাকরি দুইজন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী দেয়া দায়িত্ব অতি আন্তরিকতার সাথে পালন করবেন।
এদেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে শিক্ষাবোর্ডসহ শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সব পদে নতুন মূখ আনার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি নতুন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের কাছে।
নিবেদক
শফিকুল ইসলাম
ঢাকা
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]