দেশের ১৯টি সরকারি ও বেসরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে ১০টিতে কোনো প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী নেই। বাকি নয়টিতে আছে মাত্র ১৫ জন শিক্ষার্থী। আর এসব কেন্দ্রে ৫ শতাংশ কোটা থাকলেও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর ভর্তির সুযোগ খুব কম।
মঙ্গলবার ঢাকায় এক গোলটেবিল বৈঠকে এক গবেষণার আলোকে এসব তথ্য তুলে ধরেন অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলবার্ট মোল্লা। ‘মিট দ্য ট্রেনিং অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট নিডস অব ইয়ং পিপল উইথ ডিজঅ্যাবিলিটি’ শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও অ্যাকশনএইড।
আলবার্ট মোল্লা বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কে সচেতনতা, অবকাঠামোগত ও তথ্যগত প্রবেশগম্যতা, দক্ষ প্রশিক্ষক ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণের অভাবে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারছে না। অথচ জাতিসংঘ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সনদ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন (২০১৩) এবং ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট পলিসিতে প্রতিবন্ধীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার কথা বলা আছে৷ কিন্তু বাস্তবে তার কোনো দৃশ্যমান প্রতিফলন নেই।
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের পরিচালক আসগর আলী সাবরীরের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব মিকাইল শিপার, ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের (এনএসডিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি সালাহউদ্দিন কাশেম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।