চুয়াডাঙ্গায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে চকলেট বোমা নিয়ে প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুই স্কুলছাত্রকে আটক করেছে।
পুলিশের দাবি, অনুষ্ঠানস্থলে নাশকতা সৃষ্টির জন্য বোমাগুলো নেওয়া হচ্ছিল। তবে আটক দুই ছাত্রের দাবি, ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আনন্দ করতে বোমাগুলো তারা সংগ্রহ করেছিল। সেই থেকে তা স্কুলব্যাগে আছে।
পুলিশ জানায়, জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরের শ্রীমন্ত টাউন হলে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রবেশমুখে আর্চওয়ে মেশিন বসানো হয়। অনুষ্ঠানে আগত সবাই আর্চওয়ে গেট দিয়ে প্রবেশ করলেও ভি জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আসিফ ইকবাল গেটের পাশ দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় কর্তব্যরত পুলিশ তার স্কুলব্যাগ তল্লাশি করে। এ সময় ব্যাগের ভেতর থেকে নয়টি চকলেট বোমা উদ্ধার করা হয়। আসিফের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এম এ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়র সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মো. মন্ময়কে বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আসিফ ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড পাড়ার লিটন আলীর ছেলে আর মন্ময় একই পাড়ার বাসিন্দা টিপু মাস্টারের ছেলে।
দুই স্কুলছাত্রকে আটকের পর জেলার পুলিশ সুপার মো. নিজাম উদ্দীন সদর থানা চত্বরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে নাশকতা সৃষ্টির জন্য আসিফ বোমাগুলো বহন করছিল। জিজ্ঞাসাবাদে আসিফ জানিয়েছে যে বোমাগুলোর বিষয়ে মন্ময় জানে। মন্ময়কে আটক করা হলে সে জানায় গত ২৯ জুলাই জেলা পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। আনন্দ করতে বোমাগুলো তারা সংগ্রহ করেছিল। সেই থেকে তা ব্যাগের মধ্যেই রয়েছে।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হক বলেন, আটক ব্যক্তিদের থানায় নিয়ে বোমার উৎসের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।