২৯ মার্চ থেকে সংসদ টেলিভিশনে পাঠদান শুরু হবে। টেলিভিশনে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচালিত বিষয়ভিত্তিক ক্লাস দেখলেই কাজ শেষ নয়। টিভিতে প্রচারিত প্রতিটি ক্লাসের পর দেয়া হবে বাড়ির কাজ। আর প্রতিটি বিষয়ের আলাদা খাতায় সেই বাড়ীর কাজ শেষ করতে হবে। করোনার তান্ডব শেষ হলে যখন স্কুল খোলা হবে তখন শিক্ষকদের সেই বাড়ীর কাজের খাতা দেখাতে হবে। বাড়ীর কাজের প্রাপ্ত নম্বর ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। বুধবার (২৫ মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। দৈনিক শিক্ষার পাঠকের জন্য ক্লাস রুটিন দেয়া হলো:
‘সংসদ টেলিভিশনে’ ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সীমিত আকারে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষাদান শুরু হবে আগামী ২৯ মার্চ রোববার থেকে। শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাত সোয়া এগারোটার দিকে এই রুটিন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
আরো পড়ুন: টিভিতে পাঠদান: বাড়ির কাজের প্রাপ্ত নম্বরেই হবে ধারাবাহিক মূল্যায়ন
টিভির মাধ্যমে পাঠদানের মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে এটুআই এবং ও শিক্ষা অধিদপ্তর। সহযোগীতা করবে ব্যানবেইসসহ অন্যান্যরা।
যতদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ততদিনই টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে বাসায় অবস্থান করেই ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই সংসদ টেলিভিশনে রেকর্ড করা শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এদিকে, সংসদ টিভিকে এক পয়সাও দিতে হবে না। রাজধানীর কয়েকটি নামকরা স্কুলে শিক্ষকরা খুশীতে ক্লাস রেকডিং করেছেন। জাতির এ ক্রান্তিকালে তারা কোনো সম্মানীও দাবি করেননি। তবুও শুধু ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির লেকচার ভিডিও ধারণের জন্য ১৬ কোটি টাকার বিশাল বাজেট দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে এই বাজেট চাওয়া হয়েছে। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
১৬ কোটি টাকা কোন কোন খাতে খরচ হবে ইত্যাদি বিষয় জানার জন্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো: গোলাম ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তাঁর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে টিভিতে ক্লাস নেয়ার বিষয়টি দেখভাল করছেন কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো: শাহেদুল খবির চৌধুরী। তাকেও অফিসে পাওয়া যায়নি।