বরগুনার আমতলী উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসার বাঁশবাড়িয়া খালের একমাত্র ব্রিজটি দেড় বছরে ধরে ভেঙে পরে আছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই। একমাত্র ভরসা খেয়া নৌকায় পার হয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসতে হচ্ছে। এতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হলদিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া খালে ২০১০ খ্রিস্টাব্দে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ব্রিজটি নির্মাণ করে। নির্মাণের ছয় বছরের মাথায় ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ব্রিজের মাঝখানের অংশ ভেঙে পড়ে। দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ব্রিজ সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি।
ওই ব্রিজ দিয়ে দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও জে বি সেনের হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যেতো। ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় পর খেয়া নৌকায় প্রতিদিন ওই শিক্ষার্থীরা ও এলাকার মানুষ পার হচ্ছেন। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই দু’টি বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকার মানুষকে। অনেক অভিভাবক ওই বিদ্যালয়ে ছেলে মেয়েদের পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন।
তক্তাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আকাশ, আবিল, নীলাঞ্জনা বলেন, ব্রীজ ভেঙে যাওয়ার পরে খেয়া নৌকায় পার হতে হয়। সময়মতো খেয়া না পেলে বিদ্যালয়ে যেতে পারি না। এতে আমাদের অনেক সমস্যা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সোবহান বলেন, ব্রিজ ভেঙে পড়ায় ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে আসতে সমস্যা হচ্ছে। ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পরে অনেক শিক্ষার্থী আমার বিদ্যালয়ে ছেড়ে চলে গেছে। তিনি আরো বলেন, ব্রিজ ভাঙার বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে লিখিত আবেদন করেছি তিনি কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন ব্রিজ সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।