টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক কলেজছাত্রীকে সাড়ে ছয় মাস আটকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবেশী দুই সন্তানের জনক সেই বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি সখীপুর থানা পুলিশ নিশ্চিত করেছে। বাদল মিয়াকে গ্রেফতারের খবরে সখীপুর-ঢাকা সড়কের উপজেলার তক্তারচালা এলাকার মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় গত সোমবার ওই কলেজছাত্রীর ভাই সুমন আহমেদ বাদী হয়ে প্রতিবেশী চাচা বাদল মিয়াকে একমাত্র আসামি করে সখীপুর থানায় অপহরণ, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন। গত রোববার
রাতে ওই কলেজছাত্রীকে নিজ গ্রাম উপজেলার রতনপুর
কাশেম বাজারের পাশে জঙ্গল এলাকার পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে তালা ভেঙে উদ্ধার করে এলাকাবাসী। প্রথমে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রাতেই টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সেখানে মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ১১ জানুয়ারি ওই কলেজছাত্রীকে প্রেমিকার কাছে পেঁৗছে দেওয়ার কথা বলে একই গ্রামের দরবেশ আলীর ছেলে ওই কলেজছাত্রীর প্রতিবেশী চাচা বাদল মিয়া জঙ্গলের পাশে পরিত্যক্ত ঘরে আটকে রাখে।
এক পর্যায়ে বাদল মিয়া প্রতারণার আশ্রয় নেয়। প্রতিবেশী ওই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে সে। ছাত্রীর কাছে থাকা মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেয় বাদল মিয়া। মেয়েটি কলেজ পড়ূয়া প্রেমিককে কাছে পেতে বাদলের সব নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করে। ছয় মাস পেরোলেও মেয়েটির সেই প্রেমিককে না পেয়ে সে বাড়িতে ফেরারও সাহস পায়নি। বাদলের নির্মম নির্যাতন, অর্ধাহার ও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করেও আশ্বাসের বাণী বুকে ধারণ করে মুমূর্ষু অবস্থায় পরিত্যক্ত ঘরটিতে পড়েছিল সে। গত রোববার জঙ্গলের পাশে খেলতে যাওয়া শিশুরা মেয়েটিকে এ অবস্থায় দেখে বাড়ি ফিরে পরিবাকে খবর দেয়। পরে এলাকাবাসী মেয়েটিকে উদ্ধার করে।