৮ আগস্ট থেকে সরকারিকরণ হওয়া ২৭১টি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা নানা জিজ্ঞাসা নিয়ে হাজির হচ্ছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে। কলেজগুলোর এমপিওভুক্ত, ননএমপিও, পার্ট টাইমার ও অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকদের নিয়োগ কীভাবে হবে? বেতন কীভাবে পাবেন ইত্যাদি বিষয় জানতে চান। তারা প্রতিদিন দৈনিক শিক্ষায় ইমেইল ও ফোন করেও জানতে চান। মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সকালে শিক্ষা অধিদপ্তরে এসেছিলেন মুন্সীগঞ্জের লৌহজ্ং কলেজের দুই জন শিক্ষক। ১৩ আগস্ট এসেছিলেন নরসিংদীর পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজ ও মনোহরদী ডিগ্রি কলেজের কয়েকজন শিক্ষক।
আরও পড়ুন: সরকারি হলো ২৭১ কলেজ
দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৯ থেকে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ৪০ টি কলেজ সরকারিকরণ হলেও অদ্যাবধি ৪ টি কলেজের পদ সৃষ্টিই হয়নি। প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ ও জটিল কিন্তু সেই তুলনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরে জনবল কম।
ননক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা এখনও তৈরিই হয়নি। এটা তৈরি না হলে নিয়োগ দেয়া সম্ভব নয় বলে দৈনিকশিক্ষাকে জানান শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা।
মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখার একজন কর্মকর্তা বলেন, ২৭১ কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য প্রথমেই পদ সৃজন করতে হবে। এ জন্য শিক্ষা অধিদপ্তর মন্ত্রণালয়কে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক প্রস্তাব পাঠাবে। পরে পদ সৃজনের প্রস্তাব জনপ্রশাসন হয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যাবে। অর্থ থেকে অনুমোদন দিলেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারি আদেশ জারি করবে। পদ সৃজনের পর অ্যাডহক নিয়োগ হবে। এরপর চাকরি নিয়মিতকরণ হবে। নিয়মিতকরণ হতে তিন বছরের এসিআর ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সুপারিশ লাগবে।
তিনি আরও বলেন “সবকিছু তৈরি হচ্ছে সময়মত পেয়ে যাবে”।