সমন্বিত ভর্তিতে বাধা হলে সেই স্বায়ত্বশাসন নিয়েও ভাবা উচিত : শিক্ষামন্ত্রী - দৈনিকশিক্ষা

সমন্বিত ভর্তিতে বাধা হলে সেই স্বায়ত্বশাসন নিয়েও ভাবা উচিত : শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সমন্বিত বা কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত বাস্তাবায়নে পিছিয়ে যাওয়া পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইগো ধরে বসে না থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি। সরকারী সিদ্ধান্তের বিরোধীতাকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে আবারও আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছে। যে চার পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো মনে করছেন আলাদা আলাদা পরীক্ষা নেবেন, আমরা তাদের সাথে আবারও আলোচনায় বসবো। শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর স্বার্থে আমি বিশ্বাস করি তারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন।

আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে শিক্ষামন্ত্রী

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

 

ডা. দীপু মনি আরও বলেন, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। সেইসব বাবা-মায়েদের কথা ভাবতে হবে।  ভর্তিচ্ছুক ও তাদের অভিভাবকদের ভোগান্তি কমাত সরকারে নেয়া উদ্যোগের বিরোধীতাকারী কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা শুধু একটা ইগো নিয়ে বসে থাকবো যে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা আলাদা নেব। তা হবে না। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা যাতে মানসম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করতে সবাই মিলে সচেষ্ট হবো।’

সমন্বিত বা কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় স্বায়ত্বশাসন খর্ব হয় বলে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় মনে করছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব কিছুতে স্বায়ত্বশাসনের প্রশ্ন, এখানো স্বায়ত্বশাসনের সাথে সমস্যা কি? এখানো তাদের শাসন ক্ষমতা কেউ ছিনিয়ে নিচ্ছে না। তারা নিজেরাই এক সঙ্গে হয়ে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে, অভিভাবকদের স্বার্থে তারা এ কাজটি করবেন। যেন সব শিক্ষার্থী বৈষম্যহীনভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সমান সুযোগ পায় সে অধিকারটি শিক্ষার্থীদের দেবার জন্য কি তাদের দায়িত্ব নেই। আর তাতে যদি স্বায়ত্বশাসন বাধা হয়ে দাড়ায় তাহলে সেটি নিয়েও তাদের ভাবা উচিত।    

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আরও বলেন,  আমরা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি আমরা কেন বলছি? প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাদের এত জায়গা যেতে হয়। আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকা পরিবারগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় নারী শিক্ষার্থীরা। দূরের বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আলাদা আলাদা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয়না। পুরুষ শিক্ষার্থীরা তাও অনেক সময় এসব পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। এসব শিক্ষার্থীদের ও তাদের পরিবারের এসব ভোগান্তি কমাতেই সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি চিন্তা করা হয়েছে। 

আর েপড়ুন: জাবিও কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় যাচ্ছে না

কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় যাচ্ছে না ঢাবিও

কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় থাকছে না রাবি

প্রচলিত ভর্তি পরীক্ষাতেই জাতির আস্থা : বুয়েট

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা হবে চারটি পৃথক গুচ্ছে

গত ২৬ বিকেলে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সমন্বিত বা কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। সেদিন বৈঠক শেষে ইউজিসি চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, প্রযুক্তি, কৃষি, সাধারণ ও প্রকৌশল এ চারটি ধাপে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। পরীক্ষার প্রশ্ন কোন পদ্ধতিতে হবে তা পরে নির্ধারণ করা হবে।চারটি ধাপে ছয়টি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এগুলোর মধ্যে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তিনটি ভর্তি পরীক্ষা (বিজ্ঞান মানবিক ও বাণিজ্য শাখা), কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটি করে মোট ছয়টি ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। নতুন পদ্ধতিতে অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির আবেদন গ্রহণ করা হবে। 

এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি সব উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেই এবার থেকে সমন্বিত পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল ইউজিসি। এজন্য একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠানোর আগে ইউজিসির পক্ষ থেকে জানানোও হয়েছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এতে রাজি হয়েছে। কিন্তু পরে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট আগের মতোই নিজেদের আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।

বর্তমানে দেশে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে। এর মধ্যে ৩৯টিতে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ছাত্র ভর্তি করা হচ্ছে। এগুলোতে আসন আছে প্রায় ৬০ হাজার। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে প্রথমে গুচ্ছ ভিত্তিতেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইউজিসি। কিন্তু হঠাৎ কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইউজিসি। যেখানে মানবিক, বিজ্ঞান ও বাণিজ্যে আলাদা তিনটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর কথা ছিল। কিন্তু পরে এটি নিয়ে দ্বিমত দেখা দেয়। অনেকে বলে আসছিলেন, গুচ্ছ ভিত্তি ভালো পদ্ধতি। কারণ, এটি একটি প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি। কারণ, মেডিকেল কলেজগুলোয় এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়। এমনকি গত বছর সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এমন অবস্থায় আজকের সভায় আবারও গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য তিনটি পরীক্ষা (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখা) হবে। আর বাকি গুচ্ছগুলোতে একটি করে পরীক্ষা হবে। অর্থাৎ মোট ছয়টি পরীক্ষা হবে।

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0039198398590088