সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রধান পরীক্ষক তেঘরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে খাতায় কাটাকাটি করে নম্বর কমবেশি করেছেন, এরকম অভিযোগের ভিত্তিতে ২৪টি খাতা সিলগালা করেছে বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছে কামারখন্দ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
কয়েকটি সুত্র জানায়, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের ২৪টি খাতা মূল্যায়ন করেন ওই বিষয়ের পরীক্ষক নান্দিনা কামালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলী। মূল্যায়নের পর খাতাগুলো এই বিষয়ের নিরীক্ষক কর্ণসূতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামকে দেন। নিরীক্ষক নজরুল ইসলাম খাতাগুলো নিরীক্ষা করে একই বিষয়ের প্রধান পরীক্ষক তেঘরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের কাছে দেন। তখন প্রধান পরীক্ষক শহিদুল ইসলাম খাতাগুলোর নম্বর কাটাকাটি করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।।
গত ২৯ নভেম্বর ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নজরে আসলে তাঁরা বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের ২৪টি খাতা অনিয়মের সন্দেহ হওয়ায় খাতাগুলো সিলগালা করেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় অভিভাবক মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক দৈনিক শিক্ষাকে জানান, প্রাপ্ত নম্বরের জায়গায় সেখানে কাটাকাটি করে নম্বর কম বেশি করা বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সেই সাথে খাতাগুলো পুনরায় মূল্যায়নের দাবি জানান।
উপজেলা সমাপনী পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন দৈনিক শিক্ষাকে জানান, ২৪টি খাতার নম্বর কমবেশি ও কাটাকাটি করা হয়েছে এমন বিষয়টি আমাদের সন্দেহ হওয়ায় খাতাগুলো সিলগালা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পিইসি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, খাতা মূল্যায়নে নম্বর কম বেশি ও কাটাকাটির বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় খাতা ২৪টি সিলগালা করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের পরীক্ষক, নিরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষককে শনিবার (১ ডিসেম্বর) আমার দপ্তরে ডাকা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রমাণ মিললে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে
তবে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের পরীক্ষক, নিরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকরা খাতায় কোন কাটাকাটি বা নম্বর কম বেশির বিষয়টি অস্বীকার করেন।